মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ ইউনিয়নে প্রেমের টানে নিখোঁজ হওয়া এক তরুণীকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রায় চার মাস আগে হরগজ খাশের চর এলাকার সিরাজুল ইসলামের বড় মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৬) পরিবার থেকে একটি মোবাইল ফোন উপহার পায়। কিছুদিন পর সে মোবাইলের মাধ্যমে পাবনা জেলার সাকিল নামের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
কয়েকদিন পর কাউকে কিছু না জানিয়ে প্রেমিক সাকিলের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে পাবনায় চলে যায় সুমাইয়া। পরদিন সে মোবাইল ফোনে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানায়, সে প্রেমিকের সঙ্গে সুখে-শান্তিতে আছে এবং তাদের খুঁজতে নিষেধ করে।
এ ঘটনায় সুমাইয়ার বাবা সাটুরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মেয়েকে দ্রুত খুঁজে না পেয়ে তিনি সাটুরিয়া ডাকবাংলোয় সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এর ধারাবাহিকতায় সাটুরিয়া থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্ত চালিয়ে শনিবার রাতে নাটোর থেকে সুমাইয়াকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
উদ্ধার হওয়ার পর সুমাইয়া জানায়, মোবাইল ফোনে পরিচয়ের মাধ্যমে পাবনার সাকিলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে স্বেচ্ছায় তার সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে এবং সেখানে সে ভালোই ছিল।
সাটুরিয়া থানার ওসি শাহিনুল ইসলাম জানান, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তাকে খুঁজে পেতে সময় লেগেছে। তরুণী পালিয়ে যাওয়ার পর সে নিজেই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানায় যে, সে ভালো আছে এবং খোঁজ না নিতে অনুরোধ করে। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, মেয়েটিকে দ্রুত উদ্ধার করা যেত যদি পরিবারের পক্ষ থেকে তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা পাওয়া যেত। এ ঘটনায় সাটুরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।