মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বিএসএফের গুলিতে নিহত প্রদীপ বৈদ্যের মরদেহ হস্তান্তর করেছে ভারত।
সোমবার (২ জুন) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার চাতলাপুর স্থলবন্দর সীমান্ত দিয়ে ভারতের পুলিশ কুলাউড়া থানা পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে।
এ সময় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী, পুলিশ, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। নিহত প্রদীপ বৈদ্য শরীফপুর ইউনিয়নের দত্তগ্রামের বাসিন্দা শৈলন্দ্র বৈদ্যের ছেলে। তিনি পেশায় দিনমজুর ছিলেন।
গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুলাউড়ার শরীফপুর ইউনিয়নের দত্তগ্রাম সীমান্তের ওপারে ত্রিপুরার উনকোটি জেলার রাঙ্গাউটি দেবীপুরে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৮৫২ নম্বর পিলারের কাছে বিএসএফের গুলিতে প্রদীপ বৈদ্য নিহত হন। ঘটনার ৩৮ ঘণ্টা পর নিহত তরুণের মরদেহ হস্তান্তর করে ভারত।
এ বিষয়ে শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জয়নুল ইসলাম বলেন, ‘বিএসএফ প্রদীপকে গুলি করে মেরেছে বলে জেনেছি। নিহত প্রদীপ খুবই দরিদ্র পরিবারের ছেলে। তার বড়ভাই জয়ন্ত বৈদ্যকে নিয়ে সকালে চাতলাপুর স্থলবন্দরে কুলাউড়া থানা পুলিশের মাধ্যমে নিহতের মরদেহ গ্রহণ করি। সে কোনো চোরাচালানকারী ছিল না। নিরীহ তরুণকে সীমান্তে হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদ জানাই।’
কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘চাতলাপুর স্থলবন্দর সীমান্ত দিয়ে ভারতীর পুলিশ সোমবার সকালে কুলাউড়া থানা পুলিশের কাছে প্রদীপ বৈদ্যের মরদেহ হস্তান্তর করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।’
বিজিবি ৪৬ শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়নের সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাকারিয়া বলেন, ‘এ ঘটনায় বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টির প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে ফ্ল্যাগ মিটিং হবে।’