মৌলভীবাজার পৌর শহরসহ জেলার আঞ্চলিক সড়কগুলো এখন যেন অবৈধ দখলদারদের দখলে। সড়কের ওপর গড়ে ওঠা সিএনজি ও টমটম স্ট্যান্ড, নির্মাণ সামগ্রীর ডিপো, দোকানপাট ও ফুটপাতজুড়ে দোকানিদের দখলে ব্যাহত হচ্ছে সাধারণ মানুষের চলাচল। পাশাপাশি সৃষ্টি হয়েছে চরম যানজট ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা।
বিশেষ করে মৌলভীবাজার-শেরপুর সড়ক, চাঁদনীঘাট-কুসুমবাগ সড়কসহ সদর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে। সরু সড়কে সিএনজির সারি ও ফুটপাত দখল করে দোকান বসানোয় পথচারীদের হাঁটতে হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণভাবে মূল সড়কের উপর দিয়ে।
স্থানীয় শিক্ষার্থী সানজিদা জাহান মীম বলেন, প্রতিদিন স্কুলে যেতে ভয় লাগে। রাস্তায় হাঁটার জায়গা নেই। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের চৌমুহনী, কুসুমবাগ, শমসেরনগর রোড, চাঁদনীঘাট, কলেজ পয়েন্ট, কোর্ট পয়েন্টসহ বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৩৫টির বেশি অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। এসব স্থানে চলে চাঁদাবাজি, আর অভিযোগ রয়েছে-ট্রাফিক পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এসব স্ট্যান্ড থেকে নিয়মিত মাসোহারা নিচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চালক জানান, আমরা নির্ধারিত জায়গা না থাকায় রাস্তার পাশেই যাত্রী তুলি। আর পুলিশকে প্রতি মাসে ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে দিতে হয়, না হলে ঝামেলা করে।
অন্যদিকে, চালক সমিতির দাবি-সরকার যদি নির্ধারিত ও বৈধ স্ট্যান্ড করে দিত, তাহলে জনদুর্ভোগও হতো না, এবং মাসোহারাও দিতে হতো না।
এ বিষয়ে জেলা ট্রাফিক বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, মাঝে মাঝে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হলেও রাজনৈতিক ও স্থানীয় প্রভাবের কারণে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না।
জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন বলেন, অচিরেই অবৈধ দখল উচ্ছেদে অভিযান চালানো হবে। পাশাপাশি সিএনজি স্ট্যান্ড পুনর্বিন্যাসে একটি পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হচ্ছে।
তবে জেলার সচেতন নাগরিকরা বলছেন, শুধু উচ্ছেদ করলেই হবে না। প্রয়োজন নিয়মিত তদারকি, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং নির্ধারিত পার্কিংয়ের ব্যবস্থা।
আপনার মতামত লিখুন :