ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলার সীমান্ত দিয়ে দুই শিশুসহ ২২ জনকে পুশ-ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
সোমবার (২ জুন) রাত ১টা থেকে ৩টার মধ্যে হালুয়াঘাট উপজেলার সূর্যপুর সীমান্ত ও ১১৪১-এর ৮ এস পিলার মুন্সিপাড়া বিওপি এলাকা দিয়ে তাদের ঠেলে দেওয়া হয়। পরে তাদের আটক করে বিজিবি।
এদিকে, জেলার ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নে সীমান্ত দিয়ে ১২ জনকে পুশ-ইন করা হয়। তাদের মধ্যে আটজন পুরুষ, তিনজন নারী ও একজন শিশু রয়েছে।
আটকরা জানান, তারা নড়াইল, সিরাজগঞ্জ ও খুলনা জেলার বাসিন্দা। ২০০৪ সালে দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে চলে যান তারা। গুজরাটে বিভিন্ন দোকানে কাজ ও ব্যবসা বাণিজ্য করেন। একপর্যায়ে ভারতীয় নাগরিকত্বও পান।
তবে হুট করেই ২৪ মে থেকেই অভিযান চালিয়ে বস্তি ও বিভিন্ন দোকান থেকে তাদের আটক করে গুজরাট পুলিশ। এরপর বিভিন্ন সময় তাদের মারধর করা হয়। এমনকি তাদের কাছ থেকে মোবাইল, আইডিকার্ড, আদার কার্ডসহ যাবতীয় মালামাল রেখে দেয়। অবশেষে সোমবার রাতে মুন্সিপাড়া সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশ-ইন করেছে। পরে বিজিবি তাদের আটক করে।
এ ব্যাপারে বিজিবি ৩১ ব্যাটালিয়নের সিইও কামরুজ্জামান বলেন, ‘রাতে খবর পেয়ে তাদের আটক করা হয়। বিজিবি তাদের নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করবে এবং থানায় হন্তান্তর করে পরিচয় শনাক্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
অপর দিকে, জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার সূর্যপুর সীমান্ত দিয়ে এক শিশু ও ৯ নারীকে পুশ-ইন করা হয়। দুই জায়গাতেই পুশ-ইন হওয়া ব্যক্তিদের আটক করে বিজিবি। সোমবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে তাদের পুশইন করা হয়।
এ ব্যাপারে বিজিবির ময়মনসিংহ সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় ভোর রাতেই বিএসএফের কাছে আমরা প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছি। আটকদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
