কনস্ট্রেবল কিংবা সাব ইন্সপেক্টর নন। তার দাবি তিনি এএসপি! অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের আইডি কার্ডও সঙ্গে রাখেন। আর সেটি ব্যবহার করেই করছিলেন একে একে অপরাধ। শুধু অপরাধই নয়, করে ফেলেন বিয়েও। অথচ, কেউই জানেন না তিনি পুরোটাই ভুয়া। কিন্তু শেষমেষ ধরা পড়েন স্ত্রীর কাছে। পরে সব তথ্যই পুলিশের কাছে জানিয়ে দেন তিনি। অতপর তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
ওই ব্যক্তির নাম জাকারিয়া আহমেদ তপাদার ওরফে রাজন। তার বাড়ি সিলেটে। তিনি জকিগঞ্জ উপজেলার কসকনকপুর এলাকার আব্দুস ছবুর তপাদারের ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া এলাকায় ভুয়া পরিচয়ে বিয়ে করেন।
শনিবার (১৪ জুন) দিবাগত রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, দীর্ঘদিন ধরে জাকারিয়া নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নানা অপরাধে জড়িত ছিলেন।
যদিও তিনি পুলিশের কোনো ইউনিটেই কখনও কর্মরত ছিলেন না বলেও নিশ্চিত করেন ওসি।
ওসি লিয়াকত বলেন, তার স্ত্রী তার ভুয়া পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে থানায় অভিযোগ করেন। এরপর থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তাকে নজরদারিতে রাখে।
তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার দিবাগত রাতে কেরানীগঞ্জের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জাকারিয়াকে আটক করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে ‘জাকির আহমেদ চৌধুরী’ নামে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদবির একটি ভুয়া আইডি কার্ড এবং পুলিশের টুপি উদ্ধার করা হয়।
জাকারিয়ার বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় তিনটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দেশের অন্যান্য থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা আছে কি-না তা তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান ওসি লিয়াকত।