ঢাকা বুধবার, ০৪ জুন, ২০২৫

২ দিন পরও খোঁজ মেলেনি পুলিশ সদস্য সাইফুলের

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ২, ২০২৫, ০৪:১৮ পিএম
নিখোঁজ পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ট্রলার ডুবে নিখোঁজের ২ দিন পার হলেও পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম (২৮) ও রোহিঙ্গা শিশু মো. তামিমের (৩) খোঁজ পাওয়া যায়নি।     

শনিবার (৩১ মে) বিকেল ৩টার দিকে মেঘনা নদীতে ঝড়ো বাতাস ও ঢেউয়ের তোড়ে পড়ে ৩৯জন যাত্রী নিয়ে উপজেলার করিম বাজার সংলগ্ন ডুবারচরের মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত এক রোহিঙ্গা নারীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।    

সোমবার (২ জুন) দুপুরের দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন হাতিয়া থানার ওসি এ কে এম আজমল হুদা। 

 

নিহতরা হলেন, ভাসানচর থানার সাব-পোস্টমাস্টার ও ফেনীর পৌর দৌলতপুর গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৩) ও ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৬১নম্বর ক্লাস্টারের মো. তারেকের স্ত্রী হাসিনা খাতুন (২৫)।    

নিখোঁজ সাইফুল ইসলাম লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার চরশাহী গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইনসে কর্মরত ছিলেন এবং তামিম ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৬১নম্বর ক্লাস্টারের মো. তারেকের ছেলে।

জানা যায়, দুপুর ২টার দিকে ভাসানচর থেকে ৪ জন পুলিশ সদস্য, রোহিঙ্গা রোগী, আনসার সদস্য ও বিভিন্ন এনজি সংস্থার লোকসহ  ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার হরণী ইউনিয়নের আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।

যাত্রাপথে ভাসানচর থেকে ৭-৮ কিলোমিটার দূরে গিয়ে করিমবাজার সংলগ্ন ডুবারচরের মেঘনা নদীতে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।

 

হাতিয়া থানার ওসি এ কে এম আজমল হুদা বলেন, ‘৩৯ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এর মধ্যে ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। একজন উদ্ধারের পর মারা যান। এক পুলিশ সদস্যসহ এখনো ২ জন নিখোঁজ। কোস্ট গার্ড বর্তমানে নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।’