মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ০৯:৫৯ পিএম

সোনাইমুড়ীতে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ০৯:৫৯ পিএম

সোনাইমুড়ীতে স্বামীকে ভিডিও কলে রেখেই আত্মহত্যা করেছেন প্রবাসীর স্ত্রী। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সোনাইমুড়ীতে স্বামীকে ভিডিও কলে রেখেই আত্মহত্যা করেছেন প্রবাসীর স্ত্রী। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে স্বামীকে ভিডিও কলে রেখেই আত্মহত্যা করেছেন ফরিদা ইয়াছমিন (৩১) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শফিক হুজুরের বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ফরিদা ইয়াছমিন সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের দুলাল মিয়ার মেয়ে এবং সোনাইমুড়ীর ভানুয়াই গ্রামের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নুর নবীর স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী নুর নবী দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীকে নানা বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ করতেন। গত সাত মাস ধরে ফরিদা শফিক হুজুরের বাড়িতে ভাড়া থাকছিলেন। দুই রুমের ওই বাসায় চারটি সিসি ক্যামেরা বসিয়ে সর্বক্ষণ নজরদারিতে রাখতেন স্বামী। শনিবার রাতে পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে ফরিদা বাসা থেকে বের হতে চাইলে নুর নবী অনুমতি দেননি। এরপর স্বামীকে ভিডিও কলে রেখেই বোরখা পরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন ফরিদা।

বাড়ির মালিক শফিক উল্যাহ বলেন, ‘ফরিদা ছিলেন পর্দানশীন মহিলা। সাত মাসে আমি তার মুখও দেখিনি। শুধু ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার সময় পর্দার আড়াল থেকে কথা হতো। প্রায়ই স্বামী তার সঙ্গে ঝগড়া করতেন। এমনকি বেডরুমেও সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছিল নুর নবী। সকালে দরজা বন্ধ দেখে আমি পুলিশে খবর দিই। পরে পুলিশ এসে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।’

নিহতের ভাই মাসুদ ও রাশেদ রানা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বোনকে স্বামী নজরবন্দি করে রেখেছিল। আমাদের কারও সঙ্গে কথা বা যোগাযোগ করতে দিত না। যোগাযোগ করলে মিথ্যা অপবাদ দিত। স্বামীর চাপেই সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। সিসি ক্যামেরা ও ভিডিও কলে ঘটনাটি দেখেও স্বামী কাউকে খবর দেয়নি, অথচ বাড়িওয়ালা ও পাশের ভাড়াটিয়ার নম্বর তার কাছে ছিল। আসলে সে চাইছিল আমার বোন মারা যাক। আমরা ন্যায়বিচার চাই।’

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে সিসি ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি পারিবারিক কলহজনিত আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Link copied!