বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২৫, ০৯:৪৪ এএম

পাবনায় জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষ, অস্ত্র হাতে যুবকের ছবি ভাইরাল

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২৫, ০৯:৪৪ এএম

অস্ত্র হাতে যুবক। ছবি - সংগৃহীত

অস্ত্র হাতে যুবক। ছবি - সংগৃহীত

পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। কয়েকজনকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষের সময় এক যুবককে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গুলি চালাতে দেখা গেছে। ওই ঘটনার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়। বিএনপি ও জামায়াত উভয় পক্ষই অস্ত্রধারী ওই যুবককে একে–অপরের কর্মী দাবি করে নানা মন্তব্য করছে।

বিএনপির অভিযোগ, অস্ত্রধারী যুবক জামায়াত–শিবিরের কর্মী। কৃষকদল নেতা মক্কেল মৃধা দাবি করেন, ওই যুবকের নাম তুষার হোসেন; তিনি ঈশ্বরদী পৌরসভার ভেলুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং জামায়াত প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ।

অন্যদিকে জামায়াতের অভিযোগ, যুবকটি বিএনপির কর্মী। জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের কর্মীদের কারও কাছে অস্ত্র ছিল না। বিএনপির সন্ত্রাসীরাই অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুলিবর্ষণ করেছে।’

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, পাবনা–৪ (ঈশ্বরদী–আটঘরিয়া) আসনে বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমান ও জামায়াত প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডলের সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বিকেলে আবু তালেব মণ্ডল চরগড়গড়ি গ্রামে গণসংযোগে গেলে বিএনপি সমর্থকেরা বাধা দেন। প্রথম দফার বাকবিতণ্ডার পর ফেরার পথে মৃধাপাড়া এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় গুলিবর্ষণ, মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

জামায়াত প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডল দাবি করেন, ‘বিএনপি সমর্থকেরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমাদের ৬০–৭০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’

অন্যদিকে বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘জামায়াতের লোকজন আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে গুলি করে। তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

ঈশ্বরদী থানার ওসি আ স ম আবদুন নুর জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ‘এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, ‘মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। তদন্ত চলছে।’

Link copied!