পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শীতের তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে। টানা চার দিন ধরে এই সীমান্ত এলাকায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই অবস্থান করছে। ডিসেম্বরের শুরু থেকেই হিমেল বাতাস, ঘন কুয়াশা ও তাপমাত্রা পতনে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন দিনমজুর, শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। এর আগের দিন সোমবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা নেমেছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছিল।
যদিও আজ ঘন কুয়াশা নেই, সকালে হালকা কুয়াশা দেখা গেছে। বেলা বাড়লে রোদ উঠলেও তাতে শীত কাটেনি; উষ্ণতা খুব কম অনুভূত হয়েছে।
গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন রেকর্ড করা হয় ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের প্রকোপ বাড়ায় সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় নেমে এসেছে ব্যাপক দুর্ভোগ।
শীত বাড়ায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগও বেড়েছে কয়েকগুণ। রাস্তাঘাট, বাড়ির সামনে, চা-স্টলের পাশে খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেকে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষদের ঠান্ডা আর কুয়াশার সঙ্গে লড়াই করেই দিন কাটাতে হচ্ছে।
হাড়িভাসা এলাকার দিনমজুর রমজান আলী বলেন, ভোরে কাজে বের হইলে হাত-পা বরফের মতো ঠান্ডা লাগে। কাজে মনই বসে না।
ভ্যানচালক জাহিদুল হক বলেন, সকালে কুয়াশার ভেতর ভ্যান চালাইতে খুব সমস্যা হয়। ভাড়া কম, শীতে গা-হাত জমে আসে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, গত চার দিন ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। ডিসেম্বরের শুরুতেই এমন আবহাওয়া বিরাজ করায় সামনে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আরও তীব্র আকারে দেখা দিতে পারে।


