পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর সোনারচর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ১২ জেলেকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে রাঙ্গাবালী নৌ-পুলিশ।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে চরমোন্তাজ নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে এই হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
চার দিন ধরে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই শেষে প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন বরগুনার ১২ জেলে। বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর সোনারচর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে তাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়। সাগরে ভাসতে দেখে অন্য জেলেরা নৌ-পুলিশকে খবর দিলে প্রথমে দুপুরে ৯ জনকে এবং রাতে বাকি ৩ জনকে উদ্ধার করে রাঙ্গাবালী নৌ-পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার পশ্চিম মঠের খাল এলাকার আলমগীর খলিফার মালিকানাধীন ‘এফবি সাইকূল’ ট্রলারটি গত ৫ জুলাই গভীর সাগরে মাছ ধরতে যায়। ৬ জুলাই সকালে পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দরের শেষ বয়ার কাছে প্রবল ঢেউয়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
ফ্লোট ও রিং বয়া আঁকড়ে ধরে সাগরে ভেসে থাকেন ১২ জন জেলে। লবণ পানি খেয়ে, ঝড়-বৃষ্টি সহ্য করে, মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন তারা।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন কবির হোসেন, এবাদত, আল আমিন সিকদার, জাহিদ, রাসেল, ইব্রাহিম খান, মুনসুর, শাহ আলম, নূরুল হক, কবির শিউলি, সোহাগ ও গোপাল দাস। তাদের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
রাঙ্গাবালী নৌ-পুলিশের ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম জানান, উদ্ধার হওয়া জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :