আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক (পিআর) পদ্ধতির মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা ও মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন পিরোজপুর-১ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী।
শুক্রবার (৪ জুলাই) সকাল ১০টায় পিরোজপুর পৌর জামায়াতের আয়োজনে জেলা জামায়াত কার্যালয়ে কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, শহরে জনসংযোগ এবং ভাড়ানিখাল খনন কাজ পরিদর্শনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘১৯৮৪ সালে জামায়াত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবি তোলে, পরে তার যৌক্তিকতা দেশের জনগণ ও রাজনৈতিক নেতারা অনুধাবন করেন। তেমনি পিআর পদ্ধতির নির্বাচন ব্যবস্থার দাবিও সময়মতো স্বীকৃতি পাবে।’
তিনি ব্যাখ্যা করেন, ‘আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা এমন একটি পদ্ধতি যেখানে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রাপ্ত ভোট অনুযায়ী সংসদীয় আসন পায়। এর ফলে জনগণের বিভিন্ন মতামত ও চাওয়া সংসদে সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয় এবং কোনো ভোট নষ্ট হয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারে। এটি মনোনয়ন বাণিজ্য, টাকার অপব্যবহার ও নির্বাচনী দুর্নীতিও বন্ধ করতে সক্ষম। আশা করি দেশের জনগণ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ শিগগিরই এই পদ্ধতির উপকারিতা অনুধাবন করবেন।’
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের প্রসঙ্গে মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘এই আন্দোলনের চেতনা ছিল বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠন। এর জন্য রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন। আগে গণহত্যার বিচার, তারপর নির্বাচন এটাই শহীদ পরিবারের দাবি এবং দেশবাসীর প্রত্যাশা।’
তিনি বলেন, ‘ইন্টেরিম সরকারকে খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের প্রক্রিয়া দৃশ্যমান করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় আবারও দেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটবে, যা জনগণ আর মেনে নেবে না।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জহিরুল হক, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আব্দুর রাজ্জাক শেখ, পৌর আমির ইসহাক আলী খান, পৌর সেক্রেটারি আল আমিন শেখ, সহকারী সেক্রেটারি আনসারুজ্জামান হালিম, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আমির মোদাচ্ছের হোসাইন, সেক্রেটারি আব্দুস সাত্তার এবং পিরোজপুর বাজার সভাপতি কবির হোসেনসহ স্থানীয় ওয়ার্ড ও পৌরসভার নেতৃবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :