পিরোজপুর সদর উপজেলার ভাইজোড়া এলাকায় অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রির চেষ্টা করার অভিযোগে এক মাংস ব্যবসায়ীকে জরিমানা ও অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (২৬ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. আল আমীন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম রাজা (৩৫)। তিনি সদর উপজেলার হরিনা গাজীপুর এলাকার মো. রুস্তম সেখের ছেলে এবং বর্তমানে পিরোজপুর পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের রয়েল বেঙ্গল মার্কেটে মাংস বিক্রেতা হিসেবে কাজ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজার নির্দেশে রাতের আঁধারে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরুটি গোপনে জবাই করে মাংস বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কয়েকজন লোক।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গণমাধ্যমকর্মীরা বিষয়টি যাচাই করে প্রশাসনকে অবহিত করেন। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে রাজাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত পশু চিকিৎসক ওলিউল্লাহ বলেন, ‘ভোররাতে রাজা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমি গিয়ে গর্ভবতী গরুটির প্রসব করাই। মৃত বাছুর প্রসবের পর দেখি মা গরুর একটি পা সম্পূর্ণ পচে গেছে। পরীক্ষায় নিশ্চিত হই, গরুটি অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত ছিল। এই মাংস মানুষের খাবার হিসেবে সম্পূর্ণ অনুপযোগী।’
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. আল আমীন বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য রক্ষায় মাংস কেনাবেচায় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। অসুস্থ বা মৃত পশুর মাংস বিক্রির চেষ্টা করলে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেবে। অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত পশু জবাই ও মাংস বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।’
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরুর মাংস আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়, যাতে তা কোনোভাবে বাজারে ছড়িয়ে না পড়ে।


