রাজশাহীতে নগদ টাকা সংকটে গ্রাহকদের টাকা দিতে পারছে না ডাচ বাংলা ব্যাংক। নগরীর সকল বুথ এবং এবং অলোকার মোড়ে ব্যাংকের মূল শাখায়ও মিলছে না নগদ টাকা। কেউ জমা দিলেই তবে সেই টাকা অন্যকে দিতে পারছে তারা। আজ ৭ আগষ্ট দুপুরে ব্যাংকে গিয়ে দেখা গেছে এমন অবস্থা।
অন্যদিকে সকাল থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকের বিভিন্ন বুথেও এমন চিত্র দেখা গেছে। সকালে রেলগেট বুথে গিয়ে দেখা যায় গাহক ঘুরে যাচ্ছে টাকা না পেয়ে। সিকিউরিটি গার্ড বলেন বুথে টাকা না থাকায় তুলতে পাচ্ছেনা গ্রাহকেরা। একি অবস্থা লক্ষীপুর, সাহেববাজার সহ অন্যান্য বুথগুলোতেও।
দুপুর ১২ টার দিকে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের রাজশাহী শাখায় গিয়ে দেখা গেছে গ্রাহকরা টাকার জন্য বসে আছে, কেউ জমা দিলে সেই টাকা অন্যদের দিতে পারছে কর্মকর্তারা। তাও আবার যাদের চেক আছে তারাই শুধু সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা তুলতে পেরেছেন। সেটাও দুপুর ১ টার পর বন্ধ হয়ে যায়। এমন অবস্থায় হতাশা দেখা গেছে গ্রাহকদের মাঝে। নিজের এ্যাকাউন্টে টাকা থেকেও তুলতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন বলে জানান গ্রাহকরা।
আলমগীর হোসেন নামের একজন গ্রাহক বলেন, আমার একাউন্টে সেলারি ঢুকেছে গতকাল আজ ব্যাংকে টাকা তুলতে এসে দেখি টাকা নেই, বাড়ির বাজার ঘাট করার জন্য টাকার প্রয়োজন। বাড়িতে বলে আসলাম ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাজার করে নিয়ে আসছি। এখন টাকা না পেয়ে বাজার করব কিভাবে বুঝতে পারছিনা।
ব্যাংকে টাকা তুলতে এসেছেন নুরুজ্জামান নামের এক গ্রাহক, টাকা না পেয়ে সোফায় বসে আছেন কেউ টাকা জমা দিলে সেখান থেকে পাবেন এই আশায়। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে ঠিকই কিন্তু বাংলাদেশের সকল কিছু লুট করে খেয়েছে, আজ ব্যাংক শূন্য হয়ে গেছে তাদের কারণে। তিনি বলেন ব্যাংকগুলোর এমন ভয়াবহ অবস্থা অথচ এতদিন এসব চেপে রেখেছিলেন আজ সব প্রকাশ পাচ্ছে।
আয়েশা খাতুন নামের এক গ্রাহক দৈনিক রুপালী বাংলাদেশকে বলেন, সকাল থেকে নগরীর ডাচ্ বাংলা বুথগুলোতে ঘুরে কোথাও টাকা পেলাম না, আবার আমার চেক বই নেই কার্ডের মাধ্যমে টাকা তুলি তাই বুথে টাকা না পেয়ে মুল শাখার বুথে এসেও টাকা তুলতে পারলামনা। এমন হতাশার কথা বললেন অন্য গ্রাহকরাও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে রাজশাহীর বেশ কিছু ব্যাংকের শাখা গুলোতেও এমন সংকটের খবর পাওয়া গেছে। তবে ইসলামী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক সহ কয়েকটি ব্যাংকে লেনদেন হচ্ছে বলে যানা গেছে।
ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের রাজশাহীতে কোথাও টাকা না পাওয়ার ব্যাপারে ব্যাংকটির রাজশাহী শাখার ডেপুটি ম্যানেজার আবু সাদেক মোহাম্মদ সায়েম দৈনিক রুপালী বাংলাদেশকে বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে দুধগুলোতে টাকা সরবরাহ করতে পারছি না তাই থেকে টাকা তুলতে বাড়ছে না গ্রাহকরা। আর আমার শাখায় জামার চেয়ে উত্তোলনকারীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় সাময়িকভাবে নগর টাকার সংকট তৈরি হয়েছে তাই গ্রাহকরা চাহিদা মত টাকা পাচ্ছে না। তিনি বলেন, সকালে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিয়েছি বেলা বাড়ার সাথে সাথে মজুদ টাকা শেষ হয়ে যাওয়ার জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা করে দিয়েছি এখন সেটাও সম্ভব নয়। কেউ জমা করলেই তবে গ্রাহকদের দিতে পারবো। আশা করছি অচিরেই এ সমস্যার সমাধান হবে।