ঢাকা বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫

তানোরে স্কুলের গেট নির্মাণ ও সংস্কারে নানা অনিয়ম

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৪, ১০:০৩ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার আকচা উচ্চ বিদ্যালয়ে গেট নির্মাণ ও হাতিশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে সংস্কার কাজে নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুল্ক মৌসুমে কাজ না করে বর্ষা মৌসুমে কাজ করা হচ্ছে বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে। এতে করে কাজের টিকসই নিয়ে নানা প্রশ্ন বিরাজ করছে। 

সম্প্রতি সরেজমিনে আকচা স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, দুপার্শ্বের গেটের ওয়াল তুলা শেষ হয়ে গেছে। গেটের নিচে ঢালায় ও প্লাস্টার করা হচ্ছে। নিচের ঢালায়ে ইট বিছানো রয়েছে। ভিজা সেঁতসেঁতে ইটের উপর ঢালায় দেয়া হচ্ছে। বৃষ্টির পানির মধ্যেই চলছে কাজ। কোন কর্মকর্তা বা স্কুলের কোন শিক্ষক থাকছেনা কাজের সময়। ঠিকাদার ইচ্ছে মত দায়সারা কাজ করছেন। সেখানেই ছিলেন ঠিকাদারের এক ব্যক্তি তার কাছে কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, একাজের জন্য ঠিকাদারের দেড় লাখ থেকে দুই লাখ টাকা লোকসান হবে। অফিসের কোন লোক নাই ভিজে সেঁতসেঁতে ইটের উপরে কিভাবে ঢালায় হয় জানতে চাইলে  তিনি জানান সিডিউলে যে ভাবে উল্লেখ আছে সে ভাবেই কাজ করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার  ও শুক্রবার এবং শনিবার ছুটির সময় দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। 

জানা গেছে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে গেট নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। কাজটি পান শাহিন নামের এক ঠিকাদার। আকচা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আসলাম উদ্দিনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

গত রবিবারে হাতিশাইল স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, ক্লাসের ব্রেঞ্জ বাহিরে আছে। কয়েকজন ব্যক্তি ক্লাসের মধ্যে কাজ করছেন। স্কুলের ক্লাস ও অফিস রুমে ছাদ ঢালাই, বাথরুম এবং প্লাস্টার, রংয়ের কাজ করা হবে।

স্কুলের কয়েকজন কর্মচারী  জানান, কাজ খুব ধীর গতিতে চলছে। কাজের মান একেবারেই নিম্নমানের। কোন কিছু বললেই প্রধান শিক্ষক বাধা দিচ্ছেন। বিগত তিন মাস ধরে খুঁড়ে খুঁড়ে চলছে কাজ। সংস্কার কাজ করার জন্য সঠিকভাবে পাঠদান হচ্ছে না। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কোন লোক আসেনা। ইচ্ছে মত আয়েশ করে চলছে কাজ। সংস্কার কাজের জন্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে বলে আমাদের কে জানায়। কে ঠিকাদার তাও আমরা জানিনা।

হাতিশাইল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আয়নাল উদ্দিন বলেন, কাজের ভালো মন্দ তো বুঝিনা। শুধু বলেছি ভালোমানের কাজ করতে হবে।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী (তানোর) শরিফুল ইসলামের মোবাইলে দুপুরের দিকে মোবাইলে জানতে চাওয়া হয় কোন অর্থ বছরের কাজ ও কতটাকার এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে, তিনি জানান আমি বাহিরে আছি ফাইল দেখে বলতে হবে। বিকেল ৪টা ২৪ মিনিটে ফোন দেয়া হলে তিনি বলেন, এসব জানতে হলে অফিসে সরাসরি আসতে হবে। তিনি চায়ের দাওয়াত দেন। কতদিন আগে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে এবং কাজ শুরুর ও শেষের মেয়াদ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কোন কিছুই জানাননি। 

 এসব কাজ জুন মাসের আগেই শেষ করার নিয়ম থাকলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা সে নিয়ম মানেন না বলেও অহরহ অভিযোগ ।