ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

হেলমেট-লাইফ জ্যাকেট পরে মাছ ধরা হয় যে খামারে

রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২৫, ০৫:২০ পিএম
হেলমেট পরে মাছ ধরছেন জেলেরা। ছবি- সংগৃহীত

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার গোলাম সাকলাইনের মৎস্য খামার যেন এক ভিন্ন অভিজ্ঞতার নাম। এখানে মাছ ধরতে হলে সাধারণ জাল বা নৌকার পাশাপাশি ব্যবহার করতে হয় হেলমেট ও সেফটি জ্যাকেট।

৭০০ বিঘা জমির ওপর গড়ে ওঠা প্রায় ২৫০টি পুকুরে প্রতিদিন ধরা হয় রুই, কাতলা, মৃগেলসহ নানা প্রজাতির মাছ। এরপর তা ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের বাজারে পাঠানো হয়। খামারের এক-একটি মাছের ওজন ১২ থেকে ১৩ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। বড় মাছ জালে ধরা পড়লে লাফিয়ে উঠে আঘাত করতে পারে। দুর্ঘটনা এড়াতে তাই খামারে কর্মীদের জন্য হেলমেট ও লাইফ জ্যাকেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

খামারের উদ্যোক্তা গোলাম সাকলাইন বলেন, ‘প্রথমে আমরা একটি ছোট পুকুর দিয়ে শুরু করেছিলাম। এখন প্রতিদিন শত শত কেজি মাছ বাজারে যাচ্ছে। বড় মাছ ধরার সময় শ্রমিকরা যাতে আহত না হন, তাই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

জেলেরা বলেন, মাছ ধরার সময় হঠাৎ ঝুঁকির আশঙ্কা থেকেই এই নিরাপত্তা কৌশল কার্যকর হয়েছে। বড় ও শক্তিশালী মাছ জালে ধরা পড়লে লাফিয়ে পড়ে জেলেদের আহত করতে পারে।

এই অভিনব খামার ব্যবস্থাপনা দেখে স্থানীয় ও বাইরের উদ্যোক্তারা মৎস্যচাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

সাকলাইন আরও জানান, ‘পেশাদারি ও নিরাপদ উপায়ে মাছ উৎপাদনের এ উদ্যোগ এখন অন্যদেরও অনুপ্রেরণা দিচ্ছে। এখানকার পুকুরের এক-একটা মাছের ওজন হয় প্রায় ১২ থেকে ১৩ কেজি। জালে যখন ধরা পড়ে তখন মাছগুলো লাফঝাঁপ দেয়। মাছের ঝাপটায় যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। সে কারণে কর্মীদের এমন অনাকাঙ্ক্ষিত আঘাত থেকে বাঁচাতেই এই ব্যবস্থা নিয়েছি।’

খামারের পুকুরের কাটা রাস্তা, পরিবহণ ও বাজারজাতকরণ পর্যন্ত সবকিছু পরিচালিত হচ্ছে উদ্যোক্তার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়।

স্থানীয়রা মনে করছেন, এ ধরনের উদ্যোগ শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, বরং নিরাপদ ও আধুনিক মৎস্যচাষের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।