শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২৫, ১২:২৮ পিএম

শান্তিতে ‘শিশুদের নোবেল’ পুরস্কারে মনোনীত রাজশাহীর মুনাজিয়া

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২৫, ১২:২৮ পিএম

মুনাজিয়া স্নিগ্ধা মুন (১৭)। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

মুনাজিয়া স্নিগ্ধা মুন (১৭)। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

রাজশাহীর কৃতী সন্তান মুনাজিয়া স্নিগ্ধা মুন (১৭) আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার ২০২৫-এর জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন। বাংলাদেশে শিশুদের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায়, বিশেষ করে যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের ঝুঁকিতে থাকা মেয়েদের নিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করায় তিনি এ স্বীকৃতি অর্জন করেন।

মুনাজিয়া প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘Survivor’s Path’ নামে একটি সামাজিক আন্দোলন, যা আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো, সচেতনতামূলক কর্মসূচি আয়োজন এবং ভুক্তভোগীদের আইনি ও মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদানে কাজ করছে।

তিনি স্কুলে অভিযোগ বাক্স স্থাপন, দূরবর্তী গ্রামে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা এবং অভিভাবক, শিক্ষক ও স্থানীয় নেতাদেরকে সম্পৃক্ত করে শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছেন।

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও সক্রিয় মুনাজিয়া। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে হাজারো মানুষকে যুক্ত করেছেন তার প্রচারণায়। এ ছাড়া, কর্মশালা ও সরাসরি কার্যক্রমের মাধ্যমে এরইমধ্যে তিনি ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীকে সচেতন করেছেন। এসব কর্মশালায় আলোচনা হয় শিশু বিয়ে প্রতিরোধ, নির্যাতন থেকে সুরক্ষা এবং মানসিক সুস্থতা নিয়ে। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় মেয়েদের অনিরাপদ পরিস্থিতি চিহ্নিত করার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং সহপাঠীদের পারস্পরিক সহায়তার ওপর।

রাজশাহীর মহিষবাথান এলাকায় জন্ম নেওয়া মুনাজিয়া তার নিরলস পরিশ্রম ও কর্মের মাধ্যমে দেশের শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ, সুরক্ষিত ও সচেতন সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখছেন।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার প্রদান করে ‘KidsRights’ নামক একটি সংগঠন, যা শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা শিশুদের সুরক্ষায় কাজ করে। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সি শিশু-কিশোররা এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ার সুযোগ পায়।

২০০৫ সালে রোমে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীদের এক সম্মেলনে এ পুরস্কার প্রবর্তিত হয়। এ কারণেই একে অনেকেই ‘শিশুদের নোবেল’ হিসেবে বিবেচনা করেন।

Link copied!