সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৫, ০৩:০৫ পিএম

মাদ্রাসাপ্রধানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ, কক্ষে তালা

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৫, ০৩:০৫ পিএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার পাঁচাআনী পাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট সাইফুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর উক্ত মাদ্রাসার হিসাব নিকাশ নেওয়ার জন্য দেওয়া হয়েছে অভিযোগ।

অভিযোগপত্রে প্রায় ১৫৭ জন এলাকাবাসী স্বাক্ষর করেন। এছাড়াও ওই মাদ্রাসা প্রধানের অর্থ নয়ছয় এর বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে হিসাব নেওয়ার জন্য ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। যদিও ওই কমিটির নিকট কোনো হিসাব দেওয়া হয়নি। তারপর ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন এলাকার মানুষ।

সরেজমিনে গেলে ওই এলাকার বহু মানুষ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চান। তাদের সকলের অভিযোগ- হিসাব চাই। হিসাব চেয়ে, না পেয়ে এর আগে ওই মাদ্রাসা প্রধানের কক্ষে তালাও ঝুলিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা।

মাদ্রাসার বিষয়ে স্থানীয় গোলাম মোস্তফা নামের এক ব্যক্তি বলেন, এলাকাবাসী ওই মাদ্রাসার সবকিছুর হিসাব চায় অথচ সুপার তিনি হিসাব দিতে চান না। আমরা হিসেবের কথা বলেছি, সে বলেছেন শিক্ষা অফিসার ও ইউএনওর নিকট হিসাব দেবেন, এলাকাবাসীর কাছে হিসাব দেবেন না।

মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতার নাতি কামরুজ্জামান বাবু বলেন, এখানে প্রায় অর্ধকোটি টাকা অনিয়ম করা হয়েছে। আমরা হিসাব চেয়েছি আমাদের কাছে তিনি হিসাব দেবেন না। এখানে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। আমরা তার বিচার চাই।

মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, এই মাদ্রাসায় আমি শুধু কাগজে-কলমেই দায়িত্ব পেয়েছি। আমার কাছে কোনো হিসেব দেওয়া হয়নি। আমি বহুবার হিসাব চেয়েছি, সুপার সাহেব হিসাব দিতে চান না। এখানে ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম আছে। যার কারণে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কারো কাছে হিসাব দেবেন না। আমরা হিসেব চেয়েছি অসুস্থতার ভান করে বেশ কয়েকদিন থেকে প্রতিষ্ঠানে আসেননি।

মাদ্রাসার অভিযুক্ত সুপারিনটেনডেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেন, এখানে কোনো রকম দুর্নীতি বা অনিয়ম করা হয়নি। এগুলো মিথ্যে অভিযোগ, আমাকে হেনস্তা করার উদ্দেশ্য ছাড়া আর কিছুই নয়।

পুঠিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার লায়লা আখতার জাহান বলেন, আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আসে আমার কাছে। যথাসময়ে এসব হিসেব দেওয়া হলে এই ধরনের অভিযোগ কমে যেত। ওই মাদ্রাসা থেকেও একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে, পরবর্তীতে সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও তাকে আমি ডেকেছিলাম।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!