ফেসবুকে পরিচয়, তারপর বন্ধুত্ব—শেষমেশ প্রেম। এক বছর ধরে এমনই একটি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ভারতের মুর্শিদাবাদের যুবক সোহেল আলী (৩২)। ভালোবাসার টানে সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে চলে আসেন বাংলাদেশে। এরপর প্রেমিকার রংপুরের হারাগাছ এলাকার বাড়িয়ে যান। কিন্তু এসে জানলেন, ভালোবাসার মানুষটি বিবাহিত। মুহূর্তেই ভেঙে যায় প্রেমের স্বপ্ন।
জানা গেছে, সোহেল আলী পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার রাণীনগর থানার কলবলি তলা গ্রামের বাসিন্দা। প্রেমিকার সঙ্গে তার পরিচয় হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বছরখানেক ধরে চলা সম্পর্কটি আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে।
অবশেষে বৈধ ভিসা নিয়ে শুক্রবার (৪ জুলাই) বাংলাদেশে প্রবেশ করেন সোহেল। প্রথমে রাজশাহীর পবা উপজেলার ডাঙ্গিপাড়া গ্রামে মামাতো ভাইয়ের বাড়িতে উঠেন। পরে শনিবার (৫ জুলাই) রাতে রংপুরের হারাগাছ এলাকায় প্রেমিকার বাড়িতে যান দেখা করতে।
কিন্তু স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাকে আটক করে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন। এরপর রোববার (৬ জুলাই) সকালে সোহেলকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী একজন প্রবাসীর স্ত্রী এবং তার পক্ষ থেকে সোহেলের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। এরপর আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের চেংরাবান্ধা ইমিগ্রেশনে ফেরত পাঠানো হয়।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর বিভাগ) মারুফ আহমেদ বলেন, সোহেল ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। প্রেমিকার স্বামী বিদেশে থাকেন, আর তিনিও সোহেলের কাছে নিজের বিবাহিত পরিচয় গোপন রেখেছিলেন। ফলে দুজনই একপ্রকার পরকীয়ার সম্পর্কে জড়ান।
সোহেলের মামাতো ভাই রফিক মিয়া জানান, সোহেল ভারতে প্রাইভেটকার চালান এবং বিবাহিত। পরিবারকে কিছু না জানিয়ে প্রেমের টানে বাংলাদেশে চলে আসেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে উভয় পরিবারেই বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
আপনার মতামত লিখুন :