সাতক্ষীরা-৩ (কালিগঞ্জ–আশাশুনি) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং ‘গরিবের ডাক্তার’ খ্যাত ডা. শহিদুল আলমকে মনোনয়ন না দেওয়ায় টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ‘গরিবের ডাক্তারকে চাই’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং বিক্ষোভস্থল উত্তাল হয়ে ওঠে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে কালিগঞ্জ ব্রিজ থেকে বাস স্ট্যান্ড অভিমুখে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তার কর্মী-সমর্থকরা। এতে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
বিক্ষোভকারীদের মুখে ‘গরিবের ডাক্তারকে চাই’, ‘হটাও কাজী, বাঁচাও ধানের শীষ’ ইত্যাদি স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে কালিগঞ্জ সদর ও আশপাশের এলাকা।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কিসমাতুল বারী। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নুরুজ্জামান, উপজেলা বিএনপির সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, নলতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান পাড়, জেলা তরুণ দলের সহসভাপতি মাসুম বিল্লাহ, বিএনপি নেতা এসএম হাফিজুর রহমান বাবুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, ডা. শহিদুল আলম জনমানুষের নেতা, গরিবের ডাক্তার। তাকে মনোনয়ন না দিলে এই আসনটি বিএনপি নিশ্চিতভাবে হারাবে। তারা দ্রুত ঘোষিত প্রার্থী কাজী আলাউদ্দীনের মনোনয়ন বাতিল করে ডা. শহিদুল আলমকে পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান।
মানববন্ধনে ৭দিনের কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে তারা বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে। দাবি না মানলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের দলীয় কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা করবে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।’
এর আগে সোমবার ও মঙ্গলবার তারা দফায় দফায় সড়ক অবরোধ, হরতাল ও কুশপুত্তলিকা দাহ কর্মসূচি পালন করেন। ওই সময় সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ সড়কে ঘণ্টাব্যাপী যানজট সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছায়।


