ঢাকা শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ, ৫০ হাজারে রফাদফা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২৫, ০১:৪৫ পিএম
প্রতীকী ছবি

শরীয়তপুরে এক ১৬ বছর বয়সি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গ্রাম্য মাতবররা এ ঘটনায় অভিযুক্তকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করলেও ভুক্তভোগী পরিবার সেই টাকা পায়নি। সোমবার (৭ জুলাই) গোসাইরহাট উপজেলার পৌর এলাকার খুদেজঙ্গল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে সালিশ বসায় গ্রাম্য মাতবররা। অভিযুক্তকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে তারা। মাতবরদের রায় মেনে নিয়ে ৫০ হাজার টাকা দেনও অভিযুক্ত। কিন্তু সেই টাকা পাননি ভুক্তভোগী পরিবার। এভাবে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনাটির আইনি প্রতিকারের পথে না গিয়ে ধামাচাপার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগীর দাদি বলেন, ‘আমার নাতনি কথা বলতে পারে না। আমি সকালে রান্নাঘরে ছিলাম। এ ফাঁকে অভিযুক্ত এমরান ঘরে ঢুকে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমি দেখামাত্র এমরান দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপরে আমি ঘটনাটি আমার ছেলেকে জানাই। পরে ছেলে ও আমি এমরানের এলাকায় মুরব্বিদের বিষয়টি জানানোর পর সালিশ বসে। মাতবরদের নির্দেশে এমরানকে গ্রামের কয়েকজন ছেলে ডেকে নিয়ে আসে।’

জানা গেছে, ওই সালিশে দুপক্ষের জুড়িদার একমত হয়ে এমরানকে ওষুধ খরচ বাবদ ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য বলে। এরপর কিশোরীর বাবার কাছ থেকে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর রাখা হয়।

সালিশ শেষের দুই ঘণ্টা পর খবর পেয়ে দুপুর ১টার দিকে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসে। মেম্বার সালাউদ্দিনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি টাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। বলেন, ‘সকালে কয়েকজন মহিলা আমার কাছে আসলে বিষয়টি আমি জানি। পরে এমরানের পরিবার ও কয়েকজন মুরব্বিদের নিয়ে বিষয়টির সমাধান করি।’

নলমুড়ি ইউনিয়নের হাটুরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আব্দুল হক বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা শিশুটির বাড়িতে যাই। ভিকটিম ও তার পরিবারের কথা শুনে আমরা অভিযুক্ত এমরানের বাড়িতে যাই। আমরা যাওয়ার আগেই এমরান বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।’

গোসাইরহাট থানার ওসি মো. মাকসুদ আলম বলেন, ‘ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগের ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার মামলা করবে। ভুক্তভোগীর মেডিকেল চেকআপের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।’