ঢাকা শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫

সেরা কৃষক ও উদ্যোক্তাদের সম্মাননা দিল ‘কৃষকের প্রাণ কৃষি পরিবার’

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২৫, ১০:২৫ পিএম
সেরা কৃষক ও উদ্যোক্তাদের সম্মাননা দিল ‘কৃষকের প্রাণ কৃষি পরিবার’। ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশের কৃষিকে এগিয়ে নেওয়ার নেপথ্যের নায়ক—কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তাদের অবদানকে স্বীকৃতি জানাতে অনুষ্ঠিত হলো ‘কৃষি পরিবার সম্মাননা স্মারক–২০২৫’।

‎‎শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকার উত্তরার একটি কনভেনশন সেন্টারে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে মোট ১২টি ক্যাটাগরিতে ৪৮ জনকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

‎‎সম্মাননা প্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন কৃষক, কৃষি উদ্যোক্তা, ছাদবাগানি, মাছচাষি, মিশ্রচাষি এবং কৃষি উন্নয়নে নিবেদিত আরও বহু ব্যক্তি। ‎এ সম্মাননা প্রদান করেছে কৃষি উন্নয়নমুখী সংগঠন ‘কৃষকের প্রাণ কৃষি পরিবার’। কৃষি–বিষয়ক জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপটির এটি ছিল দ্বিতীয় আয়োজন।

‎অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ মো. নূরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ, এটিআই গাজীপুর। প্রধান আলোচক ছিলেন কৃষিবিদ প্রফেসর ড. এম. এ. রহিম, সাবেক ডিন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষ আলোচক ছিলেন কৃষিবিদ মো. সেলিম রেজা (AIP) এবং সাংবাদিক ও উদ্যোক্তা হেলাল উদ্দিন।

‎‎দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কৃষক, উদ্যোক্তা, ছাদবাগানি এবং কৃষির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে পুরো আয়োজন হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত। অনুষ্ঠানে কৃষি প্রযুক্তি, টেকসই চাষাবাদ, উদ্ভাবনী কৃষিকৌশল, উদ্যোক্তা সৃষ্টি, উদ্যানতত্ত্ব এবং আধুনিক কৃষির সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন অতিথিবৃন্দ, অভিজ্ঞ কৃষিবিদ এবং মাঠের বাস্তব অভিজ্ঞ কৃষকরা।

‎বাংলাদেশের কৃষিকে এগিয়ে রাখতে যারা প্রতিদিন মাঠে ঘাম ঝরান—সেই অদেখা নায়কদের আলোয় আনতেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন।

‎অতিথিরা বলেন, বাংলাদেশের কৃষির প্রকৃত নায়ক কৃষক ও উদ্যোক্তারা। ‘কৃষি পরিবার সম্মাননা স্মারক–২০২৫’ তাদের উদ্ভাবন, পরিশ্রম ও অবদানের প্রাপ্য স্বীকৃতি।

‎তাদের মতে, এমন উদ্যোগ আধুনিক কৃষি, প্রযুক্তি ব্যবহার, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও টেকসই কৃষির পথকে আরও মজবুত করবে। এ ধরনের সম্মাননা কৃষকদের জন্য নতুন অনুপ্রেরণা হিসেবেও কাজ করবে বলে তারা মত দেন।

‎আয়োজকরা জানান, তারা কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহায়তা এবং আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির প্রসারে নিয়মিত কাজ করছে। ভবিষ্যতেও তারা এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে। ‎দেশের কৃষির অগ্রযাত্রায় যারা নিবেদিত প্রাণ—এই অনুষ্ঠান ছিল তাদের জন্য এক ঐতিহাসিক মিলনমেলা।

‎শেষ পর্বে নির্বাচিত সদস্যদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয় ‘কৃষি পরিবার সম্মাননা স্মারক–২০২৫’। সম্মাননা পেয়ে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে জানান, এ স্বীকৃতি তাদের আরও উৎসাহ ও শক্তি যোগাবে কৃষিক্ষেত্রে নতুনভাবে কাজ করার জন্য।

‎‎‘কৃষকের প্রাণ কৃষি পরিবার'র সংগঠনের নেতারা জানান—আজ যারা সম্মাননা পেয়েছেন তারাই বাংলাদেশের কৃষির পরিবর্তনের প্রতীক। তাদের গল্প এবং সাফল্য আমাদের মনে করিয়ে দেয়—দেশের কৃষির আসল শক্তি মাঠে, কৃষকের হাতে এবং তাদের অদম্য পরিশ্রমে।

‎‎আজকের অনুষ্ঠান শুধু সম্মাননা নয়—এটি ভবিষ্যতের কৃষিকে আরও সম্ভাবনাময় করে তোলার অঙ্গীকার। তারা এমন আয়োজন অব্যাহত রাখবে বলে জানান।