বাংলাদেশের বর্ষা মৌসুমে অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এই সময়ে ভাসমান হাঁস পালন কৃষকদের জন্য একটি লাভজনক এবং কার্যকরী পদ্ধতি। এটি শুধুমাত্র হাঁসের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে না, বরং খাদ্য এবং পরিবেশগত ব্যয়ও কমায়। সঠিক পদ্ধতি ও নিয়ম মেনে চললে, এটি কৃষকদের জন্য স্থায়ী আয় নিশ্চিত করতে পারে।
জেনে নিন বর্ষার পানিতে ভাসমান হাঁস পালন পদ্ধতি-
স্থান নির্বাচন
এমন এলাকা বেছে নিতে হবে যেখানে বর্ষার পানি নিরাপদভাবে জমে থাকে এবং জলাবদ্ধতার গভীরতা ২০–৩০ সেন্টিমিটার।
এলাকা পরিস্কার ও কোনো ধরণের ক্ষতিকর পদার্থ মুক্ত হতে হবে।
পানির গতি কম হওয়া উচিত, যেন হাঁস সহজে চলাচল করতে পারে।
ভাসমান প্যাটফর্ম তৈরি
বাঁশ, কাঠ বা রিসাইক্লড প্লাস্টিক ব্যবহার করে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যায়।
প্যাটফর্মের উপরে ঘাস বা শুকনো খড় বিছিয়ে হাঁসের বসার ও ঘুমানোর জায়গা তৈরি করতে হবে।
প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে ২০–৩০টি হাঁস রাখতে সুবিধাজনক।
স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা
হাঁসের দেহ ও ডিমের গুণমান বজায় রাখতে নিয়মিত চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন দেওয়া উচিত।
পানিতে স্যাঁতসেঁতে হওয়ার কারণে চর্মরোগ বা ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে; তাই প্রতি সপ্তাহে হাঁস পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
পানির গুণগত মান নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিৎ।
সুরক্ষা ও নিরাপত্তা
পানিতে শিকারি পাখি বা অন্য ক্ষতিকর প্রাণীর প্রবেশ রোধ করতে জাল বা বেড়া ব্যবহার করা যায়।
রাতে হাঁসকে নিরাপদ রাখার জন্য আলোকিত জায়গায় রাখা উত্তম।