শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২৫, ১০:০৯ পিএম

এক কলসি পানির জন্য হাঁটতে হয় দেড় কিলোমিটার

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২৫, ১০:০৯ পিএম

এক কলসি পানির জন্য হাঁটতে হয় দেড় কিলোমিটার

নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের খলচন্দা গ্রামের কয়েকজন নারী পানি আনতে যান। ছবি- সংগৃহীত

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের খলচন্দা গ্রামে এক কলসি বিশুদ্ধ পানির জন্য প্রতিদিন দেড় কিলোমিটার পথ পাড়ি দিচ্ছেন আদিবাসী কোচ সম্প্রদায়ের মানুষ।

পাহাড়ঘেরা এ গ্রামের প্রায় ৫০টি পরিবারের পাঁচ শতাধিক মানুষ বছরের অধিকাংশ সময়ই চরম পানি সংকটে ভোগেন।

শুকনো মৌসুমে এ সংকট আরও প্রকট হয়। গ্রামের একমাত্র গভীর নলকূপটি পাহাড়ি টিলার ওপরে স্থাপিত হওয়ায় দূরত্ব ও কষ্ট বেড়ে যায়।

পানির জন্য হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত চিত্রা রানী কোচ বলেন, ‘সারা গেরামে একটা টিউবয়েল। তাও বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে। হেঁটে যেতে হয়। বৃদ্ধ বয়সে এ কষ্ট সহ্য হয় না।’

খলচন্দার মতোই একই অবস্থা পার্শ্ববর্তী কালাপানি ও বুরুঙ্গা গ্রামে। গারো, কোচ ও বানাই সম্প্রদায়ের ৪০টি পরিবার এখানে পানির জন্য নির্ভর করে চারটি মাটির কূপের ওপর।

কালাপানি গ্রামের সবিতা নকরেক বলেন, ‘ছয় জনের সংসার। গৃহস্থালির কাজ হয় কূপের পানিতে। খাওয়ার জন্য সকালে-বিকেলে আধা কিলোমিটার পায়ে হেঁটে গভীর নলকূপ থেকে পানি আনতে হয়। বর্ষাকালে বাধ্য হয়ে ঘোলা পানিই খেতে হয়।’

উত্তর আন্ধারুপাড়ার গৃহিণী জোসনা বেগম বলেন, ‘কল আছে, কিন্তু কলে পানি নাই। খাওয়ার পানি এক কিলোমিটার দূর থাইকা আনতে হয়। ঘরের কাজ চলে নদীর ময়লা পানিতেই।’

এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী নূপুর আক্তার বলেন, ‘এই এলাকায় পানির স্তর অনেক নিচে। ফলে সংকট বেড়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান লিখিতভাবে জানালে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।’

Link copied!