পাবনার বেড়া এলাকার মানব মুক্তি সংস্থার ফিল্ড অফিসার রায়হান আলী (রাজু) নামে এক এনজিও কর্মী নিখোঁজ হয়েছেন। নিখোঁজের পর রাস্তার পাশে তার মোটরসাইকেল, ব্যাগ ও মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। ব্যাগে একটি চিরকুট পাওয়া যায়, যাতে লেখা ছিল, ‘৩ লাখ টাকা রেডি রাখবেন’।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) ধোপাদহ মহিলা সমিতির নিয়মিত ফিল্ড অফিসার হিসেবে টাকা তুলতে বেড় হন রায়হান আলী। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ। এবিষয়ে আজ বুধবার সাঁথিয়া ও সিরাজগঞ্জ সদর থানায় পৃথক দুটি সাধারণ ডায়রী করা হয়েছে।
নিখোঁজ রায়হান আলী সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের চন্ডিদাসগাঁতী গ্রামের মৃত আব্দুল বারিকের ছেলে।
মানব মুক্তি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, রায়হান প্রতিদিনের মতো সেদিনও অফিস থেকে বের হন সদস্যদের কাছ থেকে সাপ্তাহিক টাকা তুলতে। দুপুর সাড়ে ১২টার টায় তিনি অফিসের ম্যানেজারের সঙ্গে অফিশিয়াল বিষয়ে শেষবারের মতো যোগাযোগ করেন।
কিন্তু বিকাল চারটার মধ্যে অফিসে টাকা জমা দেওয়ার সময় পার হয়ে গেলে, অফিস থেকে নিয়মিত তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়, কিন্তু রায়হান ফোন রিসিভ করেননি।
পরবর্তীতে তার অফিসের ম্যানেজার অন্য একজন ফিল্ড অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে রায়হানের খোঁজে বের হন। তবে যেসব কেন্দ্র রায়হানের দায়িত্বে ছিল, সেখানে গিয়ে তিনি তাকে খুঁজে পাননি। বরং জানা যায়, ওই কেন্দ্রগুলো থেকে ৬৩,৮৭৫ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে, যা অফিসিয়াল তথ্য অনুযায়ী ধরা হয়েছে।
এরপর ধোপাদহ ইউনিয়নের সলঙ্গী গ্রামে আরেকটি কেন্দ্রের দিকে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে একটি মোটরসাইকেল দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন অফিসের ম্যানেজার। এটি দেখে অনুমান করা যায় যে এটি রায়হানের মোটরসাইকেল। সেখানে রায়হান নেই; শুধু তার বাইক, অফিসের ব্যাগ এবং দুইটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে।
ফোনের মধ্যে একটি ছিল অফিসিয়াল বাটন ফোন, আর একটি তার ব্যক্তিগত স্মার্টফোন, যার ডিসপ্লে ভাঙা ছিল। ব্যাগে থাকা চিরকুটে লেখা ছিল, ‘৩ লাখ টাকা রেডি রাখবেন’।
এ বিষয়ে পাবনা সাঁথিয়া ও সিরাজগঞ্জ সদর থানায় পৃথক দুটি সাধারণ ডায়রী (জিডি) করা হয়েছে।
সাঁথিয়া থানার ওসি আনিসুর রহমান জানান, তারা রায়হান আলীকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন