ঢাকা শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী তানিশার জিপিএ-৫

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৫, ০১:০৪ পিএম
বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী জাইমা জারনাস তানিশা । ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

মেধা ও অদম্য ইচ্ছাশক্তি থাকলে প্রতিবন্ধকতাও দমিয়ে রাখতে পারে না-তারই উজ্জ্বল উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার মেয়ে জাইমা জারনাস তানিশা। বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী এই শিক্ষার্থী এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে সবার নজর কাড়েছেন।

তানিশা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ঘাটাইল সালেহা ইউসুফজাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন।

তানিশার বাড়ি ঘাটাইল সদর ইউনিয়নের কমনাপাড়া গ্রামে। তিনি উপজেলা প্রকৌশলী জয়নাল আবেদীন ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাফুজুন নাহার বিউটির মেয়ে।

শিশুকাল থেকেই বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী হলেও তানিশা কখনো থেমে থাকেননি। ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্টে ‘প্রয়াস’ নামক বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের স্কুলে পড়াশোনার সূচনা হয় তার। সেখান থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন তিনি। এরপর মূলধারার শিক্ষায় যুক্ত হয়ে এবার সফলতার চূড়ায় পৌঁছেছেন।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক বাসুদেব পাল বলেন, ‘তানিশা অত্যন্ত মেধাবী। সে বাক প্রতিবন্ধী হলেও সেটা কোনো বাধা নয়। আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে সে আরও বড় কিছু অর্জন করবে।’

তানিশার মা মাফুজুন নাহার বিউটি আবেগজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি ভাবতেও পারিনি, আমার মেয়ে জিপিএ-৫ পাবে। এটা আল্লাহর রহমত। ছোটবেলা থেকেই ও মেধাবী। আমাদের ইশারাতেই সব বুঝে। ওর ইচ্ছা, সে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, ‘তানিশা খুবই নম্র-ভদ্র ও পরিশ্রমী। আমরা তার এই ফলাফলে খুবই আনন্দিত। তার মধ্যে যে ইচ্ছাশক্তি ও মনোযোগ ছিল, সেটিই তাকে এই সাফল্য এনে দিয়েছে।’