মশা নিয়ন্ত্রণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে ৫০০ জন মশা নিয়ন্ত্রণ ও স্যানিটেশন কর্মী মোতায়েন করে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
শনিবার (৩ মে) সকাল ৬টার দিকে শুরু হওয়া এ অভিযানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচ্ছন্নতা কর্মী, স্বাস্থ্য বিভাগের মশক কর্মীদের দ্বারা উত্তর শাহজাহানপুর আবাসিক এলাকা, ঝিল ও সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশার ঔষধ প্রয়োগ করা হয়।
ডিএসসিসি'র মুখপাত্র জোবায়ের হোসেন জানান, এই অভিযান সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়। উত্তর শাহজাহানপুর, এর আশপাশের জলাভূমি ও সংলগ্ন এলাকায় এই কার্যক্রম চলছে।
অভিযানে অংশ নেওয়া দলগুলো মশা মারার ওষুধ ছিটিয়ে ও আবর্জনা পরিষ্কার করে মশার, বিশেষ করে ডেঙ্গু বিস্তারকারী এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করে।
এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘বর্ষার মৌসুমকে মাথায় রেখে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা দুটি স্তরে কার্যক্রম শুরু করেছি।’
‘প্রথমটি হলো নিয়মিত মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম। দ্বিতীয়টি হল বিশেষ মশক নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম এবং জনগনকে সম্পৃক্তকরণ জনসচেতনতামূলক র্যালি যা পর্যায়ক্রমে ডিএসসিসির ১০টি অঞ্চলে পরিচালনা করা হবে। ইতোমধ্যে যাত্রাবাড়ী ও ধানমন্ডিতে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।’
তিনি জানান, ‘এর আগে একই ধরনের অভিযান যাত্রাবাড়ী ও ধানমন্ডিতেও পরিচালিত হয়েছে। নগরীর বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে এবং তিন দিন পরপর বাড়ির ভেতর, ফুলের টব, অ্যাকুরিয়াম ও বারান্দায় জমে থাকা পানি ফেলে দিতে আহ্বান জানান প্রশাসক।’ তিনি আরও বলেন, ‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় সিটি করপোরেশন ও নাগরিকদের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।’
অভিযানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ স্থানীয় বাসিন্দারা সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। বর্ষা মৌসুমের আগে পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে এবং মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ করতে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
ডিএসসিসি'র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান, সচিব মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঁইয়া, সব বিভাগীয় প্রধান এবং স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :