দুই দফা দাবি অবিলম্বে মেনে নেওয়া না হলে আবারও প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তথ্য আপা প্রকল্পের কর্মীরা। মঙ্গলবার (১০ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে চলমান অবস্থান কর্মসূচির ১৪তম দিনে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।
ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘এতদিনেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো দপ্তর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। এটা দুঃখজনক। তাই আমরা বাধ্য হয়ে আরও কঠোর কর্মসূচির দিকে যাচ্ছি। কারণ, আমরা ন্যায্য অধিকার নিয়েই আন্দোলনে নেমেছি।’
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্পে কর্মরত মাঠ পর্যায়ের ১ হাজার ৯৬৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী চলতি আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন। তারা ঈদুল আজহার আগের দিন ২৮ মে থেকে রাজধানীতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
তাদের মূল দুই দাবি হলো—সংশ্লিষ্ট পদ সৃজন করে প্রকল্পের জনবলকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর এবং ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে কর্তনকৃত বেতন-ভাতা অবিলম্বে পরিশোধ।
প্রকল্পকর্মীদের অভিযোগ, ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাস দিয়ে কর্মকর্তাদের বেতন থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা ও সহকারীদের থেকে ১ হাজার ৩৯০ টাকা করে কেটে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তরের কোনো অগ্রগতি নেই। আন্দোলনের পর গত ফেব্রুয়ারিতে মন্ত্রণালয়ের এক উপদেষ্টা আশ্বাস দিলেও তাতে কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি।
ঈদুল আজহার দিন (৭ জুন) ও ঈদের পরদিন (৮ জুন) থেকেও কর্মীরা প্রতিদিন সকাল থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে ব্যানার-ফেস্টুনসহ স্লোগানে অংশ নিচ্ছেন।
এর আগে ১ জুন তারা পুলিশের বাধা অতিক্রম করে যমুনার সামনে অবস্থান নেন এবং প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি না আসায় পুলিশ সেদিন তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।
আন্দোলনকারী খুরশীদা বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে করুণা চাইনি, ন্যায্য অধিকার চেয়েছি। ঈদের দিন প্রিয়জন ছেড়ে রাস্তায় থেকেছি, তবু সরকারের কেউ এসে খোঁজ নেয়নি। অথচ আমরা তো অন্যায় কিছু চাইনি।’
আপনার মতামত লিখুন :