রাজধানী ঢাকায় বৃহস্পতিবার রাতে পৃথক তিনটি দুর্ঘটনায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীসহ তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন-দক্ষিণখানের মাদ্রাসা ছাত্রী জান্নাত (২০), বিমানবন্দর এলাকার বাসিন্দা সোহেল (২৫) এবং কেরানীগঞ্জের লাল চান (৫৫)।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত ১০টার দিকে দক্ষিণখান এলাকার ভাই ভাই মার্কেটের নূরানী ট্রেনিং সেন্টার মাদ্রাসার ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন জান্নাত নামের এক ছাত্রী। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাকে উত্তরার একটি হাসপাতালে, পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আদনান মাহমুদ জানান, জান্নাত মাদ্রাসার পাঁচতলার ছাদে কাজ করতে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। কীভাবে ছাদ থেকে নিচে পড়ে যান, সে বিষয়ে শিক্ষকরা নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি।
জান্নাতের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচরের পশ্চিম নামাপাড়া গ্রামে। বাবার নাম লোকমান হোসেন।
একই রাতে সাড়ে ৯টার দিকে বিমানবন্দর রেল স্টেশনের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন সোহেল (২৫)। পরে তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতাল ও সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ১২টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সোহেলের স্বজন মো. হাসান জানান, তিনি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার চর মসলন্দ গ্রামের বাসিন্দা। ঢাকায় বিমানবন্দর এলাকার কাউলায় থাকতেন এবং একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। কাজ শেষে বাসায় ফেরার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এছাড়া একই রাত ৯টা ৩০ মিনিটে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় লাল চান (৫৫) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের নাতি শাকিল জানান, লাল চান তার নাতি তামিমকে নিয়ে কোচিং থেকে ফেরার পথে হাসনাবাদ রিভারভিউ হাসপাতালের সামনে ট্রাকের ধাক্কায় আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। তার বাড়ি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পিলবাগই এলাকায়।
তবে লাল চানের নাতি তামিম দুর্ঘটনায় অক্ষত আছেন বলে জানা গেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, লাল চানের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপরদিকে, জান্নাত ও সোহেলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।