পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে শিক্ষার্থীদের একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ভিসি চত্বর হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘সোহাগ হত্যার কারণে আজ ছাত্ররা প্রতিবাদ করছে, যেমনটা তারা আওয়ামী লীগের সময়েও করেছিল। বিএনপি এখন তাদের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ১৬ বছর মজলুম থাকলেও এখন তারা যেন জালিম হয়ে উঠছে। আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের বলেন, ‘আমরা যখন দেশকে গোছানোর চেষ্টা করছি তখন একটি দল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে একজন ব্যবসায়ী চাঁদা না দেওয়ায় তাকে পাথর দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপি কি প্রস্তর যুগে ফিরিয়ে নিতে চায়?’
তিনি বলেন, ‘‘বিএনপির নেতাকর্মীরা সারা দেশে খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজিতে জড়িত। এমনকি হত্যাকাণ্ডের পর লন্ডন থেকে ফোন করে বলা হয়, ‘আমি তারেক বলছি, তোমার পাশে আছি।’ তারেক রহমান যদি আওয়ামী লীগের পথ অনুসরণ করেন, তবে তার পরিণতিও একই হবে।’’
সমাবেশে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘চাঁদার জন্য যুবদল নেতারা সোহাগকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার পর লাশের ওপর নৃত্য করেছে। এ বর্বরতা বরদাশত করা যায় না। আমরা হত্যার বিচার চাই।’
তারা আরও বলেন, ‘দলের ভেতরে শৃঙ্খলা রাখতে না পারলে লন্ডনের মতো জায়গাও নিরাপদ নয়। পালাতে পারবেন না। সময় থাকতে নিজের দল সামলান।’
এ ঘটনায় রাজনৈতিক মহলসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যেও তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ছাত্র রাজনীতির নামে সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠেছে সচেতন মহল।
আপনার মতামত লিখুন :