বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার পর থেকেই রাজধানী ঢাকার বাতাস ক্রমেই দূষণের চাপে ভারী হয়ে উঠছে। বছরের বেশির ভাগ দিনেই বায়ুদূষণের মাত্রা ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় পৌঁছাচ্ছে। একইসঙ্গে পাকিস্তানের লাহোর-করাচি এবং ভারতের দিল্লি-মুম্বাই-কোলকাতার বায়ুমানও উদ্বেগজনকভাবে নিম্নগামী।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, একিউআই ২৩৩ স্কোর নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। এই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে তালিকার শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, যার স্কোর ৩১১ যা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত। একই দেশের করাচি ১৭০ স্কোর নিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে।
ভারতের রাজধানী দিল্লি ২৪৭ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে। দেশটির আরেক শহর কোলকাতা ১৯৬ স্কোর নিয়ে পঞ্চম এবং মুম্বাই ১৬৫ স্কোর নিয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছে।
এশিয়ার আরও কয়েকটি বড় শহরের বায়ুমানও উদ্বেগজনক। ভিয়েতনামের হ্যানয় ২০০ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে, যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত। চীনের উহান ১৭৭ স্কোর নিয়ে তালিকার ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।


