ঢাকার হাজারীবাগে এক নারীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর পক্ষ থেকে থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নেওয়ার অভিযোগে দুই দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
ভুক্তভোগী নারীর ভগ্নিপতি জানান, দীর্ঘ ৮ বছর ধরে তার শ্যালিকার সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পর্ক ছিল। গত জুন মাসে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন ওই ব্যক্তি।
পরে ২৬ জুলাই (শনিবার) হাজারীবাগ থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তার দাবি, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তি এনসিপির নেতা হওয়ায় পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করছে।’
তবে হাজারীবাগ থানার ওসি সাইফুল ইসলাম এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, ‘অভিযোগকারী যে বাসায় ধর্ষণের কথা বলেছেন, তা কামরাঙ্গীরচর এলাকায় পড়ে। তাই তাকে সেই থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মামলা না নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।’
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, কামরাঙ্গীরচর ওসি আমিনুর রহমান বলেন, ‘তদন্তে ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে মামলা নেওয়া হবে।’
এনসিপির কিছু নেতাকর্মী থানায় এসে দাবি করেছেন, অভিযুক্ত যদি দোষী হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে মামলা হোক, তবে যেন তাকে ‘মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো’ না হয়।
ভুক্তভোগী নারী ও তার পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রভাবশালী হওয়ায় তারা ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না।
আপনার মতামত লিখুন :