শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, সরকার দেশীয় শিল্পের বিকাশে কার্যক্রম জোরদার করেছে। তিনি বলেন, চলমান ব্যান্ড সংকট মোকাবিলায় এটলাস বাংলাদেশের নিজস্ব ব্র্যান্ড "এটলাস ইভি" নামে ইলেকট্রিক বাইক উৎপাদন ও বিপণনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শিল্প উপদেষ্টা বলেন, “বর্তমান বিশ্বে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের কারণে সৃষ্ট পরিবেশ দূষণ রোধে ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল ও স্কুটার উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের স্বনামধন্য মোটরসাইকেল কোম্পানিগুলোও এখন জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত যানবাহনের পাশাপাশি ইলেকট্রিক যানবাহন বাজারজাত করছে। যদি জুলাই বিপ্লব না হতো, আমরা হয়তো এই উদ্যোগ নিতে পারতাম না। আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও হতাহতদের।”
বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় টঙ্গীতে এটলাস বাংলাদেশ লিমিটেড কারখানায় "এটলাস ইভি" ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল বাজারজাতকরণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান সরকার পরিবেশবান্ধব যানবাহন ব্যবস্থার প্রবর্তন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটলাস বাংলাদেশের এই উদ্যোগ জাতীয় ইলেকট্রিক ভেহিকেল নীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি কেবল কার্বন নিঃসরণ কমাবে না, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ও করবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা পৌঁছে দেবে।”
উপদেষ্টা বলেন, “এটি শুধুমাত্র যানবাহন নয়, বরং ভবিষ্যতের সবুজ প্রকৃতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি জ্বালানি খাতে নির্ভরতা কমাবে, বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করবে এবং কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে পরিবেশের রক্ষা করবে। তরুণ প্রজন্ম ও সাধারণ মানুষও এটি ব্যবহার করে লাভবান হবেন। সরকার সবসময় দেশীয় শিল্পের বিকাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য, বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বমানের দেশীয় শিল্প ব্যবহার করতে পারে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।”
তিনি আরো উল্লেখ করেন, “আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্বের পেট্রোল চালিত স্কুটার ও মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীর একটি বড় অংশ সুবিধার কথা বিবেচনা করে ইলেকট্রিক স্কুটার ও মোটরসাইকেল ব্যবহার শুরু করবে।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, বাংলাদেশ ইস্পাত প্রকৌশল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল আলমসহ এটলাস বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ডিলারবৃন্দ। অনুষ্ঠান শেষে উপদেষ্টা কারখানাটি ঘুরে দেখেন।


