শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৫, ০৯:০১ এএম

যবিপ্রবির সাবেক ভিসিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৫, ০৯:০১ এএম

যবিপ্রবির সাবেক ভিসিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

দুর্নীতির মামলায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক ভিসি ড. আব্দুস সাত্তারসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন যশোরের একটি আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) মামলার চার্জশিটের ওপর শুনানি শেষে চার্জশিট গ্রহণ ও আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার এ আদেশ দিয়েছেন  সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) শেখ নাজমুল আলম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।

অপর আসামিরা হলেন- যবিপ্রবির উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আব্দুর রউফ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) ড. কামাল উদ্দিন।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০০৯ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে আবেদন করেন আসামি আব্দুর রউফ। নিয়োগের জন্য গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট বাছাই বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তার। বাছাই বোর্ডের আরেক সদস্য ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন। একই বছরের ২২ আগস্ট আব্দুর রউফসহ ৩ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ পরীক্ষায় কেউ পাশ করেনি।

বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে আব্দুর রউফের কোনো পূর্ব-অভিজ্ঞতা না থাকা সত্বেও বাছাই বোর্ড অবৈধভাবে প্রথমে সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া চেষ্টা করে।

পরে অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাকে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। রিজেন্ট বোর্ড সভাপতি হিসেবে সাবেক ভিসি ড. আব্দুস সাত্তার বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই তাকে সেকশন অফিসার হিসেবে নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

আব্দুর রউফ সেকশন অফিসার পদে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় সিলেকশন গ্রেডসহ বিভিন্ন সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে বিভাগীয় প্রার্থীর সুবিধা নিয়ে ২০১৪ সালে সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে এবং ২০২১ সালে উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছে।

অবৈধ নিয়োগের কারণে ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত তিনি সরকারি বেতন-ভাতাবাবদ মোট ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করে।

এ ঘটনায় ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট ওই তিনজনকে আসামি করে দুদক যশোরের তৎকালীন উপ-পরিচালক মো. আল আমিন বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলার তদন্ত শেষে এজাহারনামীয় ওই তিন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত আসামিদের পলাতক দেখানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার চার্জশিটের ওপর শুনানি শেষে বিচারক চার্জশিট গ্রহণ ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির এ আদেশ দিয়েছেন।

আরবি/এসআর

Link copied!