এবার উপজেলা পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে। শিক্ষকদের ব্যক্তিগত তথ্যে অসংখ্য ভুল ও গরমিল থাকার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রতি বছর পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউশনস্ (পিবিজিএসআই) স্কিমের আওতায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
পিবিজিএসআই স্কিমের পরিচালক মো. তোফাজ্জল হোসেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহা-পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খানকে ২১ জুন পাঠানো একটি চিঠিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষকের তথ্য উপজেলা-থানা পর্যায় থেকে পাঠানো হয়েছে, তাদের জন্ম তারিখ, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য এবং এমনকি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বরেও ভুল ও জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়েছে। কিছু শিক্ষকের এনআইডি এবং মোবাইল নম্বর ডুপ্লিকেট (ভুয়া) বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
পিবিজিএসআই-এর তথ্যানুসারে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার জন্য ব্যবস্থাপনা জবাবদিহি অনুদান, উপজেলা বা থানা শ্রেষ্ঠ শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী পুরস্কারের জন্য ৫২০টি উপজেলা-থানার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা করা হয়েছিল। মাঠ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের জন্য গত ১৫ জুন একটি ৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রতিবেদনে ৫২০টি উপজেলা ও থানার মধ্যে ৩৯২টি উপজেলা ও থানার ১ হাজার ৯৬ জন শিক্ষকের তথ্য পাওয়া যায়।
এর মধ্যে ৫৬২ জন শিক্ষকের সব তথ্য সঠিক পাওয়া গেলেও, শিক্ষক নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় কমিটি রেজ্যুলেশন এবং যথাযথ প্রমাণপত্র অনেক উপজেলা থেকে পাওয়া যায়নি।