দীর্ঘ ১১ মাস পর আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েছে। এতে ৩০ জনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
তবে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ প্রতিবেদন ও চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অবরুদ্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের মিডিয়া চত্বরে তাদের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ও সাবেক প্রক্টরকে নিয়ে চিফ প্রসিকিউটরের বক্তব্যের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
এ সময় আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়েছে, এমন খবর জানার সঙ্গে সঙ্গে তারা প্রতিবেদন ও সম্ভাব্য চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করেন।
তারা চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের সাবেক প্রক্টরকে নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন এবং মামলাটির পুনরায় তদন্ত দাবি করেন। একইসাথে তারা আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচারের দাবিও জানান।
প্রতিবেদনের খবর পাওয়ার পর তারা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং অবস্থান কর্মসূচি থেকে প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় প্রশাসনিক ভবনের উত্তর গেটে বিক্ষোভ এবং দক্ষিণ গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা তাদের (ট্রাইব্যুনাল) সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে বসতে চেয়েছি, কিন্তু তারা আসেনি। তারা বলছে হামলা নাকি ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে হয়েছে—এটা মিথ্যাচার। বাংলাদেশের বিচারহীনতার বড় প্রমাণ আজ এই চার্জশিট দেওয়ার মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।’
তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষকের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে এ মামলায় মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন—বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক এএসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় এবং ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশ।
আপনার মতামত লিখুন :