২০২৫ সালের এই এসএসসি পরীক্ষায় প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর ফলাফল গণনায় বড় ধরনের ভুল ধরা পড়েছে। এই গাফিলতির জন্য শাস্তি পেতে যাচ্ছেন দুই শতাধিক পরীক্ষক।
বর্তমানে ফল পুনর্নিরীক্ষণ প্রক্রিয়ায় শুধু প্রাপ্ত নম্বর গণনা করা হয়, কিন্তু খাতাগুলো নতুন করে মূল্যায়ন করা হয় না। এতে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী যথাযথ মূল্যায়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে শিক্ষাবিদরা মনে করেন।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ফল পুনর্নিরীক্ষণে এবার ২৮৬ জন শিক্ষার্থী নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এ ছাড়া কেবল উত্তীর্ণ থেকেও জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩ জন, আর ফেল থেকে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২৯৩ জন শিক্ষার্থী।
গবেষকরা বলছেন, বোর্ড পরীক্ষায় এমন ভুল অত্যন্ত দুঃখজনক এবং এসব শিক্ষার্থীর মানসিক ক্ষতির দায়ভার কে নেবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, ‘ফল পুনর্নিরীক্ষায় শুধু নম্বর যোগ ঠিক আছে কি না দেখা হয়, খাতা পুনর্মূল্যায়ন হয় না। এটা শুধু সংখ্যাগত হিসাব, অথচ শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য মূল্যায়ন। আমরা কতটা অবহেলা করছি সেটা ভাবার বিষয়।’
শিক্ষাবোর্ড গাফিলতির জন্য দোষী পরীক্ষকদের পরীক্ষা সংক্রান্ত সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, ‘যাদের ওপর এ ধরনের অভিযোগ এসেছে, তারা আর বোর্ডের কোনো কাজে যুক্ত থাকবেন না।’
শিক্ষাবোর্ড খাতা পুনর্মূল্যায়নের নিয়মাবলি সংশোধনের জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।