বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামি ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার)। অনুষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক যাত্রায় একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে যুক্ত হবে।
সমাবর্তন অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাননীয় উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে “টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি কলেজ” থেকে বুটেক্স বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে ২০১০ সালে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় উপাচার্য অধ্যাপক মো. মাসউদ আহমেদের সময় থেকে সমাবর্তনের নিবন্ধন শুরু হয়।
এরপর চতুর্থ উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামানের সময় সমাবর্তনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলেও রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নানা কারণে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়নি। অবশেষে বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিনের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছে।
সমাবর্তন অনুষ্ঠান সম্পর্কে নিজের অনুভূতি জানিয়ে ৪২ ব্যাচের ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোস্তাক ফুয়াদ রহমান মাবিন বলেন, "কবি ফররুখ আহমেদের লেখা ‘রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি? এখনো তোমার আসমান ভরা মেঘে? সেতারা, হেলার এখনো ওঠেনি জেগে?’ কবিতার পঙক্তির মতো যেন সকল বুটেক্স গ্র্যাজুয়েটদের ব্যাকুলতা ছিল যে কবে বুটেক্সের আকাশে অমানিশা কেটে গিয়ে দেখা যাবে কাঙ্ক্ষিত সেই সমাবর্তনের চাঁদ। অবশেষে সকলের মতো আমারও অপেক্ষার প্রহর শেষে আগামী ২৭ ডিসেম্বর হতে যাচ্ছে বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন। কালো গাউন গায়ে চাপিয়ে আর ক্যাপ আকাশে উড়িয়ে আরও একবার প্রাণপ্রিয় ক্যাম্পাসে প্রবাহিত হোক আনন্দ, উচ্ছ্বাসের ধারা।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪ ব্যাচের ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব হাসান বলেন, "আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং খুশি যে অনেকদিন পর এই বহুল আকাঙ্ক্ষিত সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমি আশা করি আয়োজকরা খুব সুন্দর একটি সমাবর্তন আয়োজন করবেন। আমি অনুষ্ঠানটির সফলতা কামনা করছি।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. রাশেদা বেগম দিনা বলেন, "দীর্ঘদিন পর অবশেষে আমরা বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন আয়োজন করতে পারছি, এজন্য আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। যদিও আরও আগেই সমাবর্তনটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, তবে নানা কারণে নির্ধারিত সময়ে আয়োজন করা যায়নি। সমাবর্তন যাতে সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা যায়, এজন্য আমরা বিভিন্ন কমিটি তৈরি করেছি। শনিবার আমরা সমাবর্তনের জন্য নিবন্ধিত গ্র্যাজুয়েটদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছি। সুষ্ঠুভাবে সমাবর্তনটি আয়োজন করার ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী।"
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২–৪৪ ব্যাচ পর্যন্ত গ্র্যাজুয়েট নিবন্ধিত শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সমাবর্তন সম্পর্কিত বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে নিবন্ধিত গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধিদের জন্য আগামী ২৯ নভেম্বর (শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন