বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


জবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৫, ০৪:০৭ পিএম

জবি শিক্ষার্থীর মালামাল চুরি, পাশে দাঁড়ালেন ছাত্রদল নেতা

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৫, ০৪:০৭ পিএম

জবি শিক্ষার্থীর মালামাল চুরি, পাশে দাঁড়ালেন ছাত্রদল নেতা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

পড়াশোনার খরচ চালাতে সন্ধ্যার পর রাস্তার পাশে লুঙ্গি বিক্রি করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী মো. ইমদাদুল হক। ব্যবসার জন্য কেনা প্রায় ৩০ হাজার টাকার লুঙ্গি প্রতারণার ফাঁদে ফেলে চুরি করেন প্রতারক চক্রের সদস্য। ফলে পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা পড়েন এ শিক্ষার্থী।

এ ঘটনা নজরে এলে ভুক্তভোগীর প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন জবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহরিয়ার হোসেন। তাকে অর্থ সহযোগিতা করেন তিনি।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইমদাদুল হক। নিজের পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য সন্ধ্যার পর লুঙ্গি বিক্রি করেন তিনি। ঈদের সময় বেচাবিক্রিতে সহযোগিতা করার জন্য কুষ্টিয়া থেকে বাবাকে নিয়ে আসেন এবং একই সঙ্গে ব্যবসা করতে থাকেন। এ সময় তার বাবার সরলতার সুযোগে প্রায় ৩০ হাজার টাকার লুঙ্গি নিয়ে যান এক নারী প্রতারক।

গত ২৪ মার্চ বিকেলে গেন্ডারিয়ার ঘুণ্টিঘর সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, গেন্ডারিয়া মসজিদের পাশে সাধনার গলির সামনে লুঙ্গি বিক্রি করছিল শিক্ষার্থীর বাবা। এ সময় একজন নারী এসে ৩০-৪০টি লুঙ্গি নেয়ার কথা বলেন। ওই মানের পর্যাপ্ত লুঙ্গি না থাকায় আরও লুঙ্গি আনার জন্য যান ওই শিক্ষার্থীর বাবা। পরে লুঙ্গিগুলো পাশের একটি দোকানদারকে বুঝিয়ে রেখে যান। তিনি ফিরে এসে দোকান বন্ধ দেখেন। পরে দোকানদার জানান, তার কাছ থেকে ওই নারী লুঙ্গি নিয়ে চলে গেছে।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ঋণ করে ঈদ উপলক্ষে লুঙ্গিগুলো ব্যবসার উদ্দেশ্যে কিনি। কিন্তু ওই প্রতারক আমার ৩০-৩৫ হাজার টাকার মতো মালামাল নিয়ে গেছে। এতে পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ি।  
তিনি আরও বলেন, জিডি করলে পরদিন পুলিশ এসে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করেন। সিসিটিভি ফুটেজে দোকানদার লুঙ্গিগুলো প্রতারকের কাছে দিয়ে দিতে দেখা যায়। পুলিশ ওই নারীকে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়। এরপর দায়িত্বে অবহেলার কারণে পুলিশের মধ্যস্থতায় দোকানদার থেকে দশ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়। আমার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহরিয়ার হোসেন ভাই যোগাযোগ করে অর্থ সহযোগিতা করেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনো সহযোগিতা করা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনো প্রকারের অর্থ সহযোগিতা করা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, আমি মনে করি দলমত নির্বিশেষে সবার বিপদে পাশে থাকতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে সবসময় চেষ্টা করি মানুষের বিপদে পাশে থাকার। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলও যে কারো বিপদে পাশে থাকাকে সমর্থন করে, ইতিবাচক কাজকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে। ভবিষ্যতেও জবিয়ানদের সব সমস্যায় পাশে থাকব। নিজের ক্যাম্পাসের ভাইবোনকে সহায়তা করতে পারার মধ্যে আত্মতৃপ্তি খুঁজে পাই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. তাজাম্মুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশন কোনো অর্থ সহযোগিতা করে না। শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো প্রসাশন দেখে। এ ঘটনায় প্রসাশনের কোনো মন্তব্য নেই।

আরবি/এসআর

Link copied!