ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশ নিয়ে সুখবর দিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। বলা হচ্ছে, জুলাই মাসের মধ্যে প্রার্থীদের সুপারিশের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। সব কাজ প্রায় শেষের দিকে।
দেশের একটি গণমাধ্যমকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘জুলাই মাসের মধ্যে প্রার্থীদের সুপারিশ দিতে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির কিছু বিষয় নিয়ে আদালতে রিট করা হয়েছিল। যদিও রিটগুলোতে স্টে অর্ডার দিয়েছেন আদালত। তবুও আমরা সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছি।’
চলতি মাসে সুপারিশ করা সম্ভব না হলে আগামী মাসের মধ্যভাগের মধ্যে প্রার্থীদের সুপারিশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তবে বুধবার (২৩ জুলাই) ওই গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ মফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা কাজ করছি। এতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। ঠিক কতদিন সময় লাগবে তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত সুপারিশ করার।’
এনটিআরসিএর একটি সূত্র জানিয়েছে, ১৮তম নিবন্ধনের অনেক প্রার্থীর সনদে ভুল ছিল। তারা সনদ সংশোধনের জন্য আবেদন করেছিল। সেগুলো সংশোধনের কাজ প্রায় শেষ। চলতি মাসের মধ্যে সুপারিশের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে রিটসহ অন্যান্য বিষয়ে বাধা আসলে সুপারিশে আরও বিলম্ব হবে।
এনটিআরসিএর তথ্যমতে, গত ১৬ জুন ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে দেশের স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ে এক লাখ ৮২২টি শূন্যপদে আবেদন আহ্বান করা হয়। ২২ জুন থেকে এ আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, আবেদনের সময় শেষ হয়েছে গত ১০ জুলাই। তবে রোববার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ফি জমা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন প্রার্থীরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফরম পূরণ ও ফি পরিশোধ করে সফলভাবে আবেদন করেছেন ৫৭ হাজার ৮৪০ জন।
এনটিআরসিএ কর্মকর্তারা জানান, যদি সব প্রার্থীর আবেদন বৈধও হয়, তবুও ৪২ হাজার ৯৮২টি শিক্ষক পদ শূন্য থেকে যাবে। তা ছাড়া আবেদনকারীদের মধ্যে অনেকে বাদ পড়তে পারেন। সে ক্ষেত্রে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চাহিদা দিয়েও শিক্ষক পাবে না। ফলে সেসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে।