রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মুসতাক আহমেদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পাঁচ বছরের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আরোপ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। তবে গত ২০ জুলাই হাইকোর্ট ওই শাস্তি কার্যকর না করার নির্দেশ দিয়েছেন।
উচ্চ আদালত অধ্যাপক মুসতাকের দেওয়া রিট পিটিশনের শুনানির পর সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তকে দুই মাসের জন্য স্থগিত রাখে। আদালত সিন্ডিকেট, উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সাত দিনের মধ্যে নোটিশ পাঠানোর নির্দেশও দেয়।
শাস্তিমূলক সিদ্ধান্তের মধ্যে ছিল পদোন্নতি, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা। অভিযোগ ছিল জাল স্বাক্ষর ও আর্থিক অনিয়ম। অধ্যাপক মুসতাকের আইনজীবী উচ্চ আদালতে দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত সংবিধানের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘন করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগ্যাল সেলের প্রশাসক জানান, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। অধ্যাপক মুসতাক বলেন, তদন্ত কমিটি একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং বিভাগের কিছু শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উসকানি দিয়ে রেজিস্ট্রারকে চাপ দিয়েছে।
গণযোগাযোগ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন বকুল বলেন, বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তাধীন।