ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হলে নির্ধারিত সময়ের বাইরে অবস্থান করে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে ডাকসুর ভিপি পদপ্রার্থী উমামা ফাতেমার বিরুদ্ধে। এ ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা ও সমালোচনা। তবে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হল প্রশাসনের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি।
সোমবার (২৫ আগস্ট) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে উমামা ফাতেমা জানান, ঘটনার পরপরই তিনি রোকেয়া হলের প্রভোস্টের সঙ্গে দেখা করে একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন এবং নিয়ম ভঙ্গের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘গতকাল আমার রোকেয়া হলে প্রবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মহল থেকে কথা তোলা হচ্ছে। আমি কোনো নির্বাচনি প্রচার বা মিটিং করতে যাইনি। দীর্ঘদিনের মানসিক ধকলের কারণে মেন্টাল রিলিফের জন্য বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। রাত ১০টার আগেই আমি হলে প্রবেশ করি। রাত দেড়টার যে সময় ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার কারণে আমাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। যারা চায়নি আমি নির্বাচনে অংশ নিই, তারাই আমাকে অপরাধী বানিয়ে ফেসবুকে বিচার বসিয়েছে। বিষয়টিকে ঘোলা করার চেষ্টা করা হয়েছে।’
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রোকেয়া হল প্রশাসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একটি লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন বলেও জানান উমামা। তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমি নিয়মবহির্ভূতভাবে হলে প্রবেশ করেছি, তাই হল প্রশাসনের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছি।’
তবে বিষয়টিকে শুধু নিয়ম ভঙ্গের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে বোর্ডের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘এক হলের শিক্ষার্থী অন্য হলে যাওয়া কোনো ফৌজদারি অপরাধ নয়। যদিও এটি নিয়মবহির্ভূত, তবে এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এ ধরনের স্বাভাবিক সামাজিক যোগাযোগকে ক্রিমিনালাইজ করা হলে মেয়েদের চলাফেরার পরিসর সংকুচিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনের পর এমন নিয়ম চালু হলেও পরে তা আর মানা হয়নি।’
ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে এক হলের মেয়েরা যাতে অন্য হলে নির্বিঘ্নে যেতে পারেন, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
উল্লেখ্য, উমামা ফাতেমা বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন