ছাত্র সংসদ গঠন, আয়তন বৃদ্ধি, ইম্প্রুভমেন্ট সিস্টেম ও পরীক্ষার খাতায় কিউআর কোড সিস্টেম চালুসহ নয় দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। এসব সমস্যা নিরসন করে শিক্ষা কার্যক্রমে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তারা।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদের কাছে এ স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় দাবি বাস্তবায়নে উপাচার্যকে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দেন তারা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখিত দাবিগুলো হলো:
১. দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্র সংসদ গঠনের দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ;
২. জুলাই আন্দোলনে বিরোধিতাকারী, দুর্নীতিগ্রস্ত ও স্বৈরাচার সুবিধাভোগী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিচার নিশ্চিত করা;
৩. ইমপ্রুভমেন্ট সিস্টেম চালু এবং পরীক্ষার খাতায় শিক্ষার্থীর নাম-রোলের পরিবর্তে কোডিং সিস্টেম প্রবর্তন;
৪. সেমিস্টার ফি কমানো এবং বিভাগ উন্নয়ন ও ক্লাব ফি বাতিল করা;
৫. বিশ্ববিদ্যালয়কে শতভাগ আবাসিক ক্যাম্পাসে রূপান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ, বিশেষ করে নবীন শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা; অন্যথায় আবাসন ভর্তুকির ব্যবস্থা করা।
৬. বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন বৃদ্ধি করার কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ;
৭. সার্টিফিকেট উত্তোলন জটিলতা দূর করে অনলাইনভিত্তিক সহজ পদ্ধতি চালু করা;
৮. ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের রিটেক সমস্যার দ্রুত সমাধান;
৯. আমবটতলা থেকে বেলতলা পর্যন্ত ফুটপাত নির্মাণ এবং প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার সংস্কার।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী মো. উসামা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা উপাচার্যের কাছে ৯ দফা দাবি দিয়েছি। তিনি আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন এবং আমরা তাকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছি। এর মধ্যে যদি দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ছাত্র সংসদের ব্যাপারে কিছু উল্লেখ নেই। যেহেতু ঢাবিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদ হচ্ছে, আমরাও খুব শীঘ্রই একটি কমিটি গঠন করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ছাত্রসংসদ গঠন করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন বৃদ্ধি, ফুটপাত নির্মাণসহ শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবিগুলো নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে কাজ করছি। ধীরে ধীরে সবকিছুর সমাধান হবে বলে আশা করি।’