রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা (পোষ্য কোটা) ও শিক্ষক লাঞ্ছনার বিচারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো কমপ্লিট শাটডাউন পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরের সামনে সকাল ১০টা থেকে সব কার্যক্রম স্থগিত রেখে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, ‘কিছু নামমাত্র ছাত্র এর আগেও আমাদের ওপর হামলা করেছে। এই প্রশাসনের কাছে আমরা শাস্তির দাবি জানালেও কোনো বিচার নিশ্চিত হয়নি। আমরা আর তদন্ত কমিটিতে আশ্বস্ত হতে চাই না। যত দিন পর্যন্ত এই প্রশাসন আমাদের দাবি মেনে না নিবে এবং শিক্ষক লাঞ্ছনার শাস্তি নিশ্চিতের আশ্বাস না দেবে, তত দিন পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা নিশ্চিত না হলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে সহযোগিতা করবেন কি না—এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি এখনো বলছি, আমাদের আন্দোলন চলুক আর না চলুক, রাকসু নির্বাচনে আমাদের সহযোগিতা থাকবে।’
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজকের এই কর্মসূচি। আমদের দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস-পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজকের এই কর্মসূচি। আমাদের দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস-পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’
গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে সভা শেষে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল আলীম। অফিসার সমিতি সংবাদ সম্মেলন করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ ঘোষণা দেন। গতকাল রাতে আবারও জাতীয়তাবাদী শিক্ষকেরা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে বলে জানান।
এমন পরিস্থিতিতে গতকাল বিকেল ৫টায় রাকসু নির্বাচন কমিশনার জরুরি সভা করে নির্বাচনের তারিখ পেছান। আগামী মাসের ১৬ অক্টোবর ভোট ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন