ঢাকা সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

শিবির সব সময় সৃজনশীলতাকে প্রমোট করে: সাদিক কায়েম

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ০৫:৩৮ পিএম
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম। ছবি- সংগৃহীত

‘সুষ্ঠু রাজনীতির যে চিন্তা, তার সব কিছু আমরা সৃজনশীলতার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে চাই। শিবির সব সময় সৃজনশীলতাকে প্রমোট করে, কারণ সুন্দর সমাজ, সুন্দর ক্যাম্পাস ও সুন্দর দেশ গঠনে এর ভূমিকা অপরিসীম বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির আয়োজিত শহীদ সাজিদ স্মৃতি আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ডাকসু ভিপি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে ছাত্রশিবির ছিল সবচেয়ে মজলুম সংগঠন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই বিশ্বজিৎকে আমরা শিবির সন্দেহে হত্যা করতে দেখেছি। আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের পর শিবির সন্দেহে কাউকে মারার বৈধতাকে প্রশ্ন করা হয়। তবে তখনও মারার পর কেউ শিবির প্রমাণিত হলে সবাই এ বিষয়ে নিশ্চুপ থাকতো। দুই হাজার শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেয়েছি।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বের সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একেকটি জ্ঞান বিজ্ঞানের হাব। সেখানে গবেষণা খাতে অনেক অর্থ বরাদ্দ থাকে। তবে আমাদের দেশে গবেষণা খাতে বরাদ্দ অনেক কম, যা মেধার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেয়া হয় না। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার ভিত্তিতে এসব অর্থের বরাদ্দ দেয়া হয়। আমাদের এসব রাজনীতির নামে নোংরামি বন্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে রাজনীতির একেকটি হাবে পরিণত করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ বিলাল হোসাইন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ ভালো মানুষ তৈরি করা। জ্ঞাননির্ভর সমাজ ও মানুষ তৈরি করা। জবি শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি এই কাজ চালিয়ে যাবে বলে আমি আশা রাখি। 

বিতর্কে বিরোধী দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয় ইতিহাস বিভাগ আর সরকারি দল হিসেবে রানার্স আপ হয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ। ফাইনাল বিতর্কে সেরা বিতার্কিক হয়েছেন জয়ী দলের রুকসানা মিতু।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম, আর সঞ্চালনায় ছিলেন শাখা সেক্রেটারি আব্দুল আলিম আরিফ। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহিদ সাজিদের বড় বোন ফারজানা হক। অনুষ্ঠানে দর্শক-শ্রোতা হিসেবে বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।