ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫

রাবির রেজিস্ট্রার অপসারণে আলটিমেটাম রাকসুর

রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৫, ১১:৩৮ পিএম
সংবাদ সম্মেলনে রাকসু নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। ছবি- সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ইফতেখার আলম মাসউদের অশোভন আচরণের তদন্ত করে তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের আলটিমেটাম দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।

সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাকসু কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, জিএস সালাহউদ্দিন উদ্দিন আম্মারসহ অন্যান্য নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।

লিখিত বক্তব্যে রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগে চলমান অচলাবস্থা আজ ২৩ দিন অতিক্রম করেছে। ক্লাস, পরীক্ষা ও একাডেমিক কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এই দীর্ঘস্থায়ী সংকট নিরসনে আমরা বারবার উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দ্রুত সমাধানের অনুরোধ জানিয়েছি।’

তিনি আরও জানান, উপাচার্য বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যানকে অপসারণের নির্দেশে স্বাক্ষর করেন এবং ফাইলটি রেজিস্ট্রার দপ্তরে পাঠান। নিয়ম অনুযায়ী, সে দিনই চিঠি ইস্যু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু রেজিস্ট্রার দপ্তর তা রোববার দুপুর পর্যন্তও ইস্যু করেনি।

এ প্রসঙ্গে রাকসুর সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন উদ্দিন আম্মার রেজিস্ট্রার দপ্তরে গেলে এক কর্মকর্তা জানান, রেজিস্ট্রার তখন একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যস্ত আছেন এবং পরে আসতে বলেছেন। ‘প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনকালে রাজনৈতিক কার্যক্রমে যুক্ত থাকা নীতিগতভাবে অনুচিত,’—বলেন রাকসু নেতারা।

পরে রাকসু প্রতিনিধিরা সরাসরি রেজিস্ট্রারের সঙ্গে দেখা করলে তিনি ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন এবং উত্তেজিতভাবে কথা বলেন বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার একটি অংশ ভিডিওচিত্রে ধারণ করা হয়, যা ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।

রাকসুর পক্ষ থেকে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সংকটকে উপেক্ষা করে প্রশাসনিক পদক্ষেপে বিলম্ব করা দায়িত্বহীনতার দৃষ্টান্ত। একজন নির্বাচিত ছাত্রপ্রতিনিধির সঙ্গে এমন আচরণ রাকসুর মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করেছে এবং এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক নীতিমালার পরিপন্থী।

রাকসুর নেতারা সতর্ক করে বলেন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ইফতেখার আলম মাসউদের এই অশোভন আচরণের তদন্ত করে তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করতে হবে, অন্যথায় আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।