৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে ৪১ হাজার ৬২৭ জন শিক্ষক প্রার্থীকে সুপারিশপ্রাপ্ত করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। কিন্তু অনেকে বিভিন্ন ধরনের জটিলতার মুখে পড়েছেন। দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
তবে এ বিষয়ে এনটিআরসিএ সদস্য (যুগ্ম সচিব) ইরাদুল হক বলেছেন, ‘আমরা যাচাই–বাছাই করব।’
ইরাদুল হক গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন।
দুই বছর আগে ১৮তম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৯ জন আবেদন করেন। তাদের মধ্যে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে সর্বোচ্চ মেধার স্বাক্ষর রেখে ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন। তবে গত ১৯ আগস্ট প্রকাশিত ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির ফলে লক্ষাধিক পদের বিপরীতে মাত্র ৪১ হাজার ৬২৭ জন প্রার্থী সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।
এরপরই বিভিন্ন জটিলতার কথা সামনে আসে। দেখা যায়, অনেকে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন ভিন্ন কারিগরিতে। কারোর সুপারিশপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে পদ খালি নেই। কারো কারো ভুল প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ করা হয়েছে।
এমন সব জটিলতা নিয়ে এখন প্রতিনিয়ত এনটিআরসিএতে হাজির হচ্ছেন সুপারিশপ্রাপ্তরা। জটিলতা সমাধনে করছেন আবেদনও।
জানতে চাইলে এনটিআরসিএ সদস্য (যুগ্ম সচিব) ইরাদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পুরো প্রক্রিয়াটি অটোমেটেডভাবে সম্পন্ন হওয়ায় এক ক্যাটাগরিতে আবেদন করে অন্য ক্যাটাগরিতে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার সুযোগ নেই। প্রার্থীরা আবেদনের সময় ভুল করলে এমনটি হয়।’
‘তবে যদি এমন হয় যে, সংযুক্ত প্রতিষ্ঠানে পদ ফাঁকা নেই, তাকে নতুন প্রতিষ্ঠানে সংযুক্ত করা হবে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা মোতাবেকই বরাদ্দ করা হয়,’ যোগ করেন তিনি।
ইরাদুল হক আরও জানিয়েছেন, এখনো অনেক অভিযোগ জমা পড়ছে।
‘আমরা যাচাই–বাছাই করব। যাদের আবেদনে ভুল নেই, তারা নিয়োগ পাবেন। যদি প্রতিষ্ঠানের কারণে কেউ ১৮ তারিখের ভেতর নিয়োগপত্র না পান, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’, বলেন তিনি।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন