টানা আন্দোলনের মুখে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছে শিক্ষক-কর্মচারীরা। তবে তাদের চিকিৎসা ও উৎসবভাতা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। ফলে এ দুই ভাতা আগের মতোই থাকছে। অর্থাৎ চিকিৎসাভাতা ৫০০ টাকা ও উৎসবভাতা মূল বেতনের ওপর ৫০ শতাংশ এটাই পাবেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এ বিষয়ে জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কর্মচারীদের উৎসব ভাতা নিয়ে আমাদের একটা দাবি ছিল। তারা আগে থেকেই ৫০ শতাংশ করে পাচ্ছেন। এটা আমরা ৭৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছি। শিক্ষা উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন, তবে এ মুহূর্তে এটা সম্ভব হচ্ছে না।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা খালিদ মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাড়িভাড়া ছাড়া অন্য সব ভাতা আপাতত আগের মতোই থাকছে। পরবর্তীতে এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হলে জানানো হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া আপাতত ১৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্তের কথা জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর ১৬ অক্টোবর দেওয়া সম্মতিপত্র বাতিল করে নতুন করে সম্পতিপত্র দেয় অর্থমন্ত্রণালয়।
সম্মতিপত্রে বলা হয়, আগামী ১ নভেম্বর থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের সাড়ে ৭ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) বাড়িভাড়া ভাতা পাবেন। আর আগামী অর্থবছরের ১ জুলাই (২০২৬ সালের) থেকে আরও সাড়ে ৭ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা যুক্ত হবে। সবমিলিয়ে ১৫ শতাংশ (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) বাড়িভাড়া ভাতা দেওয়া হবে।
গত ১২ অক্টোবর থেকে তিন দাবিতে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় প্রেসক্লাব ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান, সচিবালয় অভিমুখে মিছিল এবং শাহবাগ মোড় অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
শিক্ষকদের তিন দাবি হলো: মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা এবং উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন