তেজগাঁও কলেজের এইচএসসি ২৬-২৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তাদের সহপাঠী ও বড় ভাই সাকিব হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ক্লাস ও পরীক্ষা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড তাদের মানসিকভাবে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। তারা এ ঘটনা “নির্মম ও বর্বর” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এক বিবৃতিতে তারা বলেন, `সভ্য সমাজে এমন নৃশংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা চাই হত্যাকারীরা দ্রুত গ্রেপ্তার হোক, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হোক এবং ঘটনার স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক।'
শিক্ষার্থীরা আগামীকাল সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসের মূল ফটকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা আরও জানান, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী হলেও নীরবতা দুর্বলতার প্রতীক নয়; বরং সেই নীরবতার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে প্রতিবাদ ও ন্যায়ের জোরালো দাবি।
বিবৃতিটি স্বাক্ষর করেছেন তেজগাঁও কলেজের এইচএসসি ২৬-২৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
তেজগাঁও কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রাবাসে ছাত্রদলের মোর্শেদ–তরুণ–সেলিম গ্রুপ এবং সুইডেন–আসলাম গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরেই মাদক সেবন, বহিরাগত ছাত্র হলে রাখা এবং চাঁদাবাজির মাধ্যমে আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল।
গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে হলের তলায় বসে মাদক সেবন করলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদেরকে বাধা দেয়। এরপর বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়।
এরপর ছাত্রদলের মোর্শেদ–তরুণ–সেলিম গ্রুপ বহিরাগত শতাধিক লোক নিয়ে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে বেধড়ক পিটিয়ে তিনজনকে আহত করে। এর মধ্যে গুরুতর আহত হন তেজগাঁও কলেজের উচ্চমাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের (২০২৪–২৫) সেশনের শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান রানা।
তাকে গুরুতর অবস্থায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা দ্রুত আইসিইউতে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। এরপর তাকে দ্রুত মালিবাগের প্রশান্ত হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। ৫ দিন ধরে আইসিইউতে চিকিৎসা চলার পর আজ তার মৃত্যু হয়।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন