পাকিস্তানের ১৭ বছর বয়সী টিকটক তারকা সানা ইউসুফকে বন্ধুত্বের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় গুলি করে হত্যা করেন উমর হায়াত নামে ২২ বছর বয়সী এক যুবক। ঘটনার ২০ ঘণ্টার মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করেছে ইসলামাবাদ পুলিশ। হত্যার কথা স্বীকারও করেছেন অভিযুক্ত।
মঙ্গলবার ইসলামাবাদ পুলিশের মহাপরিদর্শক সৈয়দ আলী নাসির রিজভী জানান, রাজধানী থেকে প্রায় ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণে ফয়সালাবাদ শহর থেকে উমর হায়াতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তদন্তে উঠে আসে, ওই তরুণ এক বছর ধরে সানাকে চিনতেন এবং একতরফা বন্ধুত্ব গড়তে চাইছিলেন। সানা সাড়া না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ২ জুন ইসলামাবাদের বাড়িতে গিয়ে তাকে গুলি করেন উমর। গুলি করে তার মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত হত্যাকাণ্ডের সময় ইউসুফের সঙ্গে তর্কে জড়ান এবং একপর্যায়ে গুলি চালান। এরপর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এবং ১১৩টি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সন্দেহভাজনের অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে সানার ফোন ও হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ড দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। ইসলামাবাদ পুলিশ জানায়, এমন ‘নৃশংস’ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত সমাধানের জন্য তাদের ওপর ব্যাপক চাপ ছিল।
সানার পরিবার জানায়, সে তাদের একমাত্র মেয়ে এবং অত্যন্ত সাহসী ছিল। তার মৃত্যুর পর কবরস্থানে সবাই জড়ো হয়েছে তাকে শেষবারের মতো বিদায় দিতে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মৃত্যুর পর রাতারাতি বাড়তে থাকে সানার ফলোয়ার সংখ্যা। এখন তার টিকটক অ্যাকাউন্টে অনুসারীর সংখ্যা দশ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
মৃত্যুর ঠিক আগে ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক ভিডিওতে তাকে নিজের জন্মদিনে কেক কাটতে দেখা যায়।
সানার বাবা একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সে আমার একমাত্র মেয়ে ছিল। অনেক সাহসী আর পরিশ্রমী ছিল। এমন পরিণতি ওর প্রাপ্য ছিল না।’
আপনার মতামত লিখুন :