শুরুতে মডেলিং, পরে ছোট পর্দায় জনপ্রিয়তা-সেই অহনা রহমান এখন ধর্মীয় চেতনাকে সামনে রেখে এক নতুন মোড় নিয়েছেন জীবনে। ওমরাহ পালন শেষে আমূল পরিবর্তন আনেন পোশাক-আচরণে। তবে এখানেই শেষ নয়, নেটিজেনদের কটাক্ষ আর প্রশ্নবাণে জর্জরিত এই অভিনেত্রী এবার মুখ খুললেন একেবারে সোজাসাপটা ভাষায়।
‘নাটকের বাইরে আমি মাথার কাপড় ফেলতে চাই না’-এই এক বক্তব্য ঘিরেই তোলপাড় হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। কেউ বলছেন ‘লোক দেখানো ধর্মানুভূতি’, আবার কেউ সরাসরিই বলছেন, ‘ধর্মে বিশ্বাস থাকলে অভিনয় কেন?’
জবাব দিতে দেরি করেননি অহনা। এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট জানালেন, ‘ইনকাম সোর্স থাকলে অভিনয় ছেড়ে দিতাম। রাজার সম্পত্তিও বসে বসে শেষ হয়ে যায়।’ বলার ধরনে ছিল একরাশ ক্ষোভ, একরাশ হতাশাও।
সঙ্গে দিয়ে দিলেন আরও এক কড়া বার্তা-‘আপনাদের যদি মনে হয় আমি সিমপ্যথি চাইছি, তাহলে মাসিক খরচটা আপনারা দিয়ে যান! টিভি চ্যানেলের বিকাশ নম্বরেই পাঠিয়ে দিন!’
এই এক মন্তব্যে ফের ঝড় উঠেছে নেট দুনিয়ায়। কেউ বলছেন, ‘সত্যি কথাই বলেছে মেয়ে’, আবার কেউ বলছেন, ‘এইরকম উত্তর একেবারে মানায় না।’
অহনার ভাষ্য শুনে বোঝা যাচ্ছে, অভিনয়টা এখন আর নেশা নয়, বরং জীবনের একমাত্র উপার্জনের রাস্তা। ওমরাহ থেকে ফেরার পর থেকে বোরকা, হিজাব-এসবেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন তিনি। তবে ‘চাপের মুখে নয়, নিজের ইচ্ছাতেই’ এমন পথ বেছে নিয়েছেন, তাও জানাতে ভোলেননি।
কথায় বলে, ‘মানুষ বদলায় সময়ের সঙ্গে।’ অহনা কি নিজেকে বদলে ফেলছেন ধীরে ধীরে? নাকি এক নতুন লড়াইয়ের মুখে দাঁড়িয়ে নিজের ধর্মীয় অনুভূতি আর পেশাগত জীবনের ভারসাম্য খুঁজছেন? উত্তর সময়ই দেবে। আপাতত নেট দুনিয়ায় চলছে আলোচনা, সমালোচনার টানাপড়েন। তবে একথা স্পষ্ট-অহনা যা বলেন, সোজাসাপটা বলেন!